৮ অগস্ট শেষরাতে নারকীয় অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক। ৯ অগস্ট সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুম থেকে। তার পরেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সে খবর। সেই সঙ্গেই জ্বলে ওঠে প্রতিবাদ। বিচারের দাবিতে চিৎকার করে ওঠে গোটা শহর তথা রাজ্য এমনকি দেশেরও নানা প্রান্ত। আজ রাত পোহালেই ৯ সেপ্টেম্বর। ঘটনার পরে কেটে গেল একটা মাস। এই একমাসে কয়েকশো প্রতিবাদী জমায়েতের আয়োজন হয়েছে শহরে। আক্ষরিক অর্থেই ‘মিছিলনগরী’ হয়ে উঠেছে কলকাতা। আজ একমাসের মাথায় আবারও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডের তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। তার আগে রবিবার ফের রাত দখল। দুপুর থেকে দফায় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পথে নেমে আন্দোলনে শামিল। কোথাও মানববন্ধন, আবার কোথাও মিছিলে অংশ নিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ। পথে নেমেছেন টলিউডের শিল্পীরা থেকে শুরু করে রিকশাচালক, মৃৎশিল্পী– সক্কলে। তবে এবার প্রতিবাদ শুধু কলকাতা, রাজ্য বা দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে বিদেশেও।
রাত দখল ছাডা়ও, আজ বিকেলে আরও একবার পথে নেমেছেন টলিউডের শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। গত রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা হেঁটেছিলেন তাঁরা। অবস্থানও করেছিলেন রাতভর। আজ, রবিবার আবার বিকেল ৫টার সময়ে টালিগঞ্জ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করবেন তাঁরা। দক্ষিণ কলকাতার একাধিক স্কুলের প্রাক্তনীদের মিছিলে অবরুদ্ধ রাসবিহারী। প্রায় বন্ধ যানচলাচল। চরম ভোগান্তি আমজনতার। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ পথে নেমেছেন রিকশাচালকরাও। বিকেল ৪টে নাগাদ হেদুয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। তাঁদের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রিকশা-শ্রমিকদের মিছিল’।