বুধবার বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে নতুন বিবৃতি পোস্ট করে রাজভবন। বলা হল, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য যে সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ দেখতে চেয়েছে, তা সাধারণ মানুষকে দেখাবে রাজভবন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পুলিশ ছাড়া যে কেউ চাইলেই সেই ফুটেজ দেখতে পারবেন। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ক্ষুব্ধ অভিযোগকারী মহিলা কর্মী। তাঁর অনুমতি না দিয়ে মুখ দেখানোয় রীতিমতো হতাশ। কুরুচিকর কাজ করে নিজের দোষ ঢাকতে নাটক মঞ্চস্থ করছেন রাজ্যপাল, এমনই বলছেন ক্ষুব্ধ অভিযোগকারিণী। তাঁর দাবি, সিসিটিভির প্রযুক্তির দিকটি তিনি জানেন না। কিন্তু মুখ কেন দেখানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ রাজভবনের (Raj Bhavan) তরফে ওই ঘটনার ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁর কথামতো ‘সাচ কা সামনা’য় আবেদনের ভিত্তিতেই ওই ফুটেজ বাইরে দেখানো হয়েছে। সেই ভিডিওয় রাজভবনের অন্দর নয়, তিন ধাপে নর্থ গেটের সামনের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কোথাও দেখা যায়নি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose)। অভিযোগকারিণী বলেন ‘এই হাস্যকর নাটকটা না করে পুলিশকে তদন্ত করার অনুমতি দেওয়ার সাহসটা দেখাতে পারতেন।’ মহিলা বলেন, ‘তিনি রাজভবনের কর্মীদের সত্যিটা বলার জন্য অনুমতি দিতে পারতেন। কিন্তু, ওই নিগ্রহকারী, শয়তানটার অবস্থা এখন ‘চিত্ত আমার ভয়পূর্ণ, বিকৃত মম শির’।
অভিযোগকারিণী মহিলা বলেন, ‘রাজ্যপাল মহাশয় নিজে এই রকম একটা কুরুচিকর কাজ করলেন। এখন আবার নিজের দোষ ঢাকার জন্য উনি হাস্যকর এক নাটক মঞ্চস্থ করলেন। সেটা করতে গিয়ে তিনি আমার ফুটেজটা প্রকাশ্যে আনলেন। আমি জানতাম ভারতীয় আইনে রয়েছে যে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রেখে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি আবার অপরাধ করলেন।’
মহিলা কর্মীর সংযোজন, ‘এর পরেও কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি সাধারণ মানুষ, আর তিনি রাজ্যপাল। ওঁর জন্য আমার এবং আমার পরিবারের যে সম্মানহানি হয়েছে এবং আজ আমার অনুমতি ছাড়া এই ফুটেজ প্রকাশ করে যে অসম্মানটা করলেন এরপর তো আত্মঘাতী হওয়া ছাড়া আমার কাছে কোনও রাস্তা থাকবে না। তবে যদি কোনও তদন্ত হয়…যদি সত্যিটা সামনে আসে…’।