আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহিলারা রাত দখল করার ডাক দিয়েছিলেন। বুধবার মধ্যরাতে শান্তিপূর্ণ সেই কর্মসূচি বদলে গেল তাণ্ডবলীলায়। একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় আরজি কর হাসপাতালেই। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে কার্যত ভেঙে তছনছ করে দেয় জরুরি বিভাগ। এই হামলার ঘটনায় লক্ষাধিক টাকার ওষুধ নষ্ট হয়েছে বলেই দাবি। পাশাপাশি আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। মধ্যরাতে কলকাতা শহরে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই কারা হামলা চালালেন আরজি কর হাসপাতালে? এখন এই প্রশ্নই সর্বত্র ঘুরপাক খাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই দাবি করেছেন, হামলাকারীরা হাসপাতালে ঢুকেই আগে জরুরি বিভাগে হামলা করে। টেবিল, চেয়ার থেকে শুরু করে যাবতীয় আসবাব ভেঙে দেওয়া হয়। হামলার পরে দেখা যায় সর্বত্র কাচের টুকরো পড়ে আছে। যদিও জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল ভাঙচুর হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ওই ঘর থেকেই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত শুক্রবার। তবে এই ঘটনায় ওয়ার্ড ও নার্সিং স্টেশনে রাখা দামী প্রচুর ওষুধপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে চিকিৎসা সরঞ্জাম, রোগীদের বেড কিছুই ছাড়েনি দুষ্কৃতীরা।
শুধু হাসপাতালের ভিতরে নয়, বাইরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে, হাসপাতালের বাইরের পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়। একাধিকজন পুলিশ কর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নামানো হয় ব়্যাফও।
বুধবার রাত ১২টা নাগাদ আরজি করের সামনে রাত দখলের কর্মসূচি শুরু। ঠিক তার পর পরই একদল উন্মত্ত ব্যক্তি আচমকাই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে থাকেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল চত্বরে তাণ্ডব চালায় রড ও লেঠেল বাহিনী। পরে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। কয়েক জন পুলিশকর্মী জখমও হয়েছেন হামলাকারীদের ছোড়া ইটে। কিন্তু যাঁরা হামলা চালালেন, তাঁরা কারা? বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়।