শেষ ইডি হেফাজত। কালীপুজোর দিনই জেলযাত্রা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। জেলযাত্রার আগেও নিজেকে ‘অসুস্থ’ বলেই দাবি করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। “সব কথা পরে বলব”, বলে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন তিনি।
১৪ দিনের হেফাজতের পর জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল সোমবার। এক দিন আগেই ইডি তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়। সেখানে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী জানান, জ্যোতিপ্রিয়ের নির্দেশেই তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকে তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল। জেরার মুখে জ্যোতিপ্রিয় এ কথা স্বীকারও করেছেন বলে ইডির দাবি। তবে ওই তিন সংস্থা চালানোর কথা স্বীকার করেননি জ্যোতিপ্রিয়। এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইডি। সেই কারণে তারা জেলে গিয়ে মন্ত্রীকে জেরা করার আবেদন জানিয়েছে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় দু’দফায় ইডি হেফাজতে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এদিন শুনানিতে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘ইডি হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে মন্ত্রী। অবস্থা ভালো নয়। এই ১৪ দিনে তদন্তকারী সংস্থা কী পেয়েছে, তা জানা দরকার’।রবিবার সকালে ‘অসুস্থ’ জ্যোতিপ্রিয়কে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরনোর সময় মৃত্যুর আশঙ্কা করেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী। সিজিওতে ফেরার পথে বাকিবুরের লোন দেওয়া প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন জ্যোতিপ্রিয়। এসব দাবি ভিত্তিহীন বলেই জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরই ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ইডি হেফাজত শেষের একদিন আগেই রবিবার কেন মন্ত্রীকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হল, সে কারণ অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে এদিন ইডি এবং মন্ত্রীর আইনজীবীর সওয়াল জবাব শেষে জ্যোতিপ্রিয়কে আগামী ৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ১৬ নভেম্বর ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে।