বুধবার সকালে কিড স্ট্রিটে এমএলএ হোস্টালের সামনে ধুন্ধুমার কাণ্ড। হোস্টেল গেট আটকে বিক্ষোভে দেখালেন এমএলএ হস্টেলেরই গেট আটকে বিক্ষোভ দেখলেন ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের সরাতে গিয়ে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে। চাকরীপ্রার্থীদের অভিযোগ তাঁরা প্রায় ৯০০ দিনে ধরে আন্দোলন করছেন। অথচ তাঁদের নিয়ে বিধানসভায় একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। কোনও আলোচনা হয়নি। তাঁদের দাবি নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরি প্রার্থীরা।
বুধবার সকালে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশনের যোগ দেওয়ার কথা ছিল এই মন্ত্রী-বিধায়কদের। অথচ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে এমএলএ হস্টেলের গেট দিয়ে বেরোনোর উপায়ই ছিল না। ফলে সোমবার সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ এমএলএ হস্টেলের ভিতরেই আটকে রইলেন তাঁরা। যার প্রভাব পড়ল বিধানসভাতেও।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: চোখের চিকিৎসার জন্য সস্ত্রীক বিদেশ গেলেন অভিষেক, ফিরবেন কবে?
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, বিধানসভার অধিবেশন চলছে। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ যে ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা প্রায় ৯০০ দিন ধরে ‘প্রাপ্য’ চাকরির দাবিতে পথে বসে আন্দোলন করছেন, তাঁদের নিয়ে সরকার বা বিরোধী পক্ষের বিধায়কেরা কোনও আলোচনাই করছেন না। ভোট দিয়ে যাঁদের বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছেন, সেই জন প্রতিনিধিদের কাছে ‘অবিচারের’ জবাব চাইতেই তাই তাঁদের থাকার জায়গা, এমএলএ হস্টেলের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের স্কুলের এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। যদিও বেলা ১১টা নাগাদ পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের একরকম জোর করেই সরিয়ে দেয়।
বুধবার বিধানসভা অধিবেশনে ওঠে বিক্ষোভ প্রসঙ্গ। সেখানেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করার অধিকার সকলের আছে। তবে এমএলএ হস্টেলের গেট আটকে এভাবে নয়। অন্যের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে আন্দোলন নয়।অনেকে আমাকে ফোন করেছে। আমি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
আরও পড়ুন: Land Subsidence: শিয়ালদহ এবং বিধাননগর স্টেশনের মাঝে ধস, ব্যাহত ট্রেন চলাচল, ভোগান্তি