এখনই প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। ততদিন এই ৩২ হাজার শিক্ষক আগের মতোই চাকরি করবেন এবং বেতন পাবেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়য়ের রায় ছিল, চাকরি বাতিল হওয়া ওই ৩২ হাজার জন যেই যেই প্রাথমিক স্কুলে পড়াতেন সেই সেই সব স্কুলেই পড়াতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের মতো। ওই সব স্থানে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে আগামী ৩ মাসের মধ্যে। ছাড় দেওয়া হয়েছিল বয়ঃসীমাতেও। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারারাও।
পর্ষদের চ্যালেঞ্জ করা সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ থাকবে। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া রায় অনুযায়ী, আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে।
অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষণে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতোই। অর্থাৎ এই ৩২ হাজার শিক্ষক যাঁরা ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশের সময় অপ্রশিক্ষিত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। ইন্টারভিউ এবং অ্যাপটিচিউড টেস্টের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ৩২ হাজার জন প্রশিক্ষণহীন বলে অভিযোগ। রাজ্যের দাবি, কেন্দ্রের নিয়ম অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে সকলেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সকলেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।