১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের। এদিকে তার ফাঁসির দাবিতে শোরগোল চলছে রাজ্যে। যদিও এই অবস্থায় একটুও ‘বিচলিত’ নয় সঞ্জয়। বরং এখনও রয়েছে নিজের মেজাজেই! সূত্রের খবর, সঞ্জয় নিজেই তদন্তকারীদের বলেছে, তাঁকে ফাঁসি দিলে দিয়ে দিতে।
আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত যুবক পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে শুক্রবার রাতে প্রথমে আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল অভিযুক্তকে। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট তিনি ভিতরে ছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ার কারণে হাসপাতালে ঢুকতে বা বেরোতে তাঁর সমস্যা হয়নি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ অভিযুক্ত এক বার হাসপাতালে ঢুকেছিলেন। তার পর বেরিয়ে মদ খান। পরে মত্ত অবস্থায় ভোর ৪টে নাগাদ আবার হাসপাতালে ঢোকেন। প্রবেশের সময়ে তাঁর গলায় একটি ব্লুটুথ হেডফোন দেখা গিয়েছিল, বেরোনোর সময়ে যেটি ছিল না। পরে ওই হেডফোনেরই ছেঁড়া অংশ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকে। এই হেডফোনের সূত্রে এবং সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার দিন সেমিনার হলে বসে অন্যান্য চিকিৎসক-পড়ুয়াদের সঙ্গে অলিম্পিক্সের নীরজ চোপড়ার ম্যাচ দেখছিলেন ওই তরুণী। তারপর রাতের খাওয়া সেরে সবাই চলে যায় এবং তিনি সেখানেই শুয়ে পড়েন। সেমিনার হলে ঢোকা-বেরনোর দুটো রাস্তা আছে। সামনের দিকের রাস্তার করিডরের সামনেই সঞ্জয়কে দেখে গেছিল সিসিটিভি ফুটেজে। সেমিনার হলে ঢোকার অন্তত ৪৫ মিনিট পর তাকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। জানা গেছে, ঘটনার দিন মদ্যপ অবস্থায় ছিল সঞ্জয়। গভীর রাতে ঘুম থেকে টেনে তুলে ওই তরুণীর ওপর ভয়ানক অত্যাচার করেছে সে।