লাগাতার বিতর্কের জের। বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে এবং মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের। সাসপেন্ড করা হল তাঁদের। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাসপেনশন জারি থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।শনিবার জানানো হয়, আপাতত কাউন্সিলের কোনও মিটিংয়ে থাকতে পারবেন না তাঁরা।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পিনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। একই কমিটির সদস্য ছিলেন মুস্তাফিজুরও। এ ছাড়া, কাউন্সিলের তরফে শুক্রবার শোকজ়ের চিঠি পাঠানো হয়েছে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ। কাউন্সিলের তরফে বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে সন্দীপকে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে বাতিল হতে পারে রেজিস্ট্রেশনও।
শোনা যাচ্ছিল, ৯ আগস্ট সকালে অর্থাৎ তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন নাকি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার হলে উপস্থিত ছিলেন বিরূপাক্ষ। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। শোনা যায়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নাকি চলত তাঁর ‘দাদাগিরি’, ‘থ্রেট কালচার’।
একের পর এক বিতর্কে নাম জড়ানো বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গত বুধবার পদক্ষেপ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় কাকদ্বীপ হাসপাতালে। কিন্তু সন্দীপ ‘ঘনিষ্ঠ’ চিকিৎসককে হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে বাধা দেন হাসপাতালের কর্মী, এলাকাবাসী।
সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন অন্যান্য চিকিৎসকেরা। প্রশ্ন উঠছিল সুদীপ্তের অবস্থান নিয়েও। শেষমেশ এক প্রকার বাধ্য হয়েই কাউন্সিলের কোড অফ কন্ডাক্টের ২৫(২) এবং ৩৭/(iii) ধারা মেনে সন্দীপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলেন তাঁরা। সাসপেন্ড করা হল ‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’ তিন চিকিৎসককেও।