আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সোমবার শিয়ালদহ আদালতে ২১৩ পাতার চার্জশিট দাখিল করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ৯ আগস্ট ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সন্দেহে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর ২ দিন পর ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। ঠিক ৫৫ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল। কিছু প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। জিজ্ঞাসাবাদে কে কী জানিয়েছেন, সেই বয়ানের নথি তুলে ধরা হয়েছে চার্জশিটে।
আদালতের নির্দেশে তদন্তভার গ্রহণের পর মূল মামলায় সিবিআই আর কাউকে গ্রেফতার করেনি। তবে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়াও আরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়ারা এবং নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল। তবে আদালত সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের দাখিল করা চার্জশিটে ২০০ জনের বয়ানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মূল অভিযুক্ত হিসেবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র সঞ্জয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এটাই চূড়ান্ত চার্জশিট নয়। সেক্ষেত্রে নতুন করে কারও নাম উঠে এলে তা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে যুক্ত করা হবে।
নির্যাতিতার মৃত্যুর ৫৮ দিন পর এই চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। আরজি করের নির্যাতিতা মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকে, বিচারের দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারেরা। চলছে অনশন কর্মসূচি। সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মাঝে এক বার বিচারের দাবিতে সিবিআই দফতর অভিযানও করেছেন তাঁরা। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকেও জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, তাঁরা সিবিআইয়ের উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না।
যদিও সিবিআইয়ের এই চার্জশিট নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার দুপুরে ধর্মতলায় অনশনমঞ্চ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই সময় আন্দোলনকারীদের অন্যতম প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেন, “সংবাদমাধ্যম থেকে যা তথ্য পেয়েছি, সেই অনুযায়ী এটি একটি প্রাথমিক চার্জশিট। তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তার পরে এই বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।”