RG kar: CBI Summon Vineet Goel CP of Kolkata, says TMC MP Sukhendu Shekhar Roy

RG kar বিনীত গোয়েলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করুক সিবিআই, দাবি তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর

আরজি কর-কাণ্ডে আরও এক ধাপ এগোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। এ বার তিনি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানালেন সিবিআইয়ের কাছে। এক্স হ্যান্ডেলে সুখেন্দু শেখর লিখলেন, ‘কলকাতার নগরপাল এবং সন্দীপ ঘোষের জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। কে আত্মহত্যার কথা বলেছিল পরিবারকে।’

রাত দখলের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সুখেন্দু শেখর । ১৪ তারিখ রাতে কোনও সমাবেশে যোগ না দিলেও নিজে ধরনায় বসেছিলেন। পরে অমিত শাহকে চিঠি লিখে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির আর্জি জানিয়েছিলেন। তৃণমূলের অনেক নেতাই মেয়েদের সেই ‘রাত দখল’ কর্মসূচিকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন। সে সময়ে রাজ্যের শাসকদলের তরফে কর্মসূচিকে প্রথম সমর্থন করেছিলেন সুখেন্দু। জানিয়েছিলেন, তিনি মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। তাই তিনি মনে করেন, এই সময়ে প্রতিবাদে শামিল হওয়াটা জরুরি।

১৪ তারিখ দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে নেতাজি মূর্তির সামনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ধর্নায় বসেছিলেন সুখেন্দু। নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে সিপির গ্রেফতারি চাইলেন। সুখেন্দুর দাবি, স্বচ্ছভাবে সবটা সামনে আনুক সিবিআই। কেন হাসপাতালের ভিতরে ভাঙাভাঙি হয়েছিল, কেন তিন দিন পর স্নিফার ডগ আনা হয়েছিল সেই প্রশ্ন করছেন তিনি। লিখছেন, ‘এরকম শতাধিক প্রশ্ন রয়েছে। যেগুলির উত্তর চাই। তাঁদের বলতে বলুন এবার।’

শনিবার রাতে এক্সে সুখেন্দু লিখেছেন, ‘‘সিবিআইকে স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করতে হবে। কে বা কারা, কেন আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করেছিল, তা জানার জন্য আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। কেন সেমিনার হলের কাছে ঘরের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হল? কার প্রশ্রয়ে ‘রায়’ এত ক্ষমতা পেল? কেন ঘটনার তিন দিন পর স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হল? এমন বহু প্রশ্ন উঠে এসেছে। এর উত্তর দিতে হবে ওঁদের।’’

‘রায়’ কে? পোস্টে তা খোলসা করেননি সুখেন্দু। তবে তৃণমূলের একাংশের মতে, ‘রায়’ বলতে সুখেন্দু শ্রীরামপুরের বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের কথা বলতে চেয়েছেন। তিনি আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। যে পদে আগে ছিলেন শান্তনু সেন।