আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তাঁর সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ মৃতার বাবা-মায়ের। হাসপাতালের বেশ কয়েক জন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নামও তাঁরা সিবিআইকে জানিয়েছেন।আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তাঁর সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ মৃতার বাবা-মায়ের। হাসপাতালের বেশ কয়েক জন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নামও তাঁরা সিবিআইকে জানিয়েছেন। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও তাঁর মেয়েকে কেউ ডাকেনি তাঁর সহকর্মী বা হাসপাতালের কেউ, বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেজনক লাগছে বলে সিবিআই-কে জানান বাবা।
নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা নাকি সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে সকালে ৮টা ১০ নাগাদ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। তাঁর ওপিডি-তে ডিউটি ছিল তখন। শেষ বারের মতো রাত ১১টা ১৫ মিনিটে মাকে ফোন করেছিলেন সেই চিকিৎসক। সেই মেয়ের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা বলা তাঁদের।
মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘রাত ২টোর পর মেয়েটি ঘুমোতে গিয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত সে সহকর্মীদের সঙ্গেই ছিল। পরের দিন সকাল ৯টায় দেহ উদ্ধার হয়। এতটা সময় তাঁর খোঁজ কেউ নিলেন না কেন?’’
শুক্রবারও আরজি করের কয়েক জন চিকিৎসক পড়ুয়াকে তলব করেছিল সিবিআই। তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরাও দিয়েছিলেন। বেশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁদের। এর আগেও কয়েক জন চিকিৎসককে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শুক্রবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন আরজি করের মৃত চিকিৎসকের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীও।