RG Kar Medical College and Hospital repair reportedly ordered on 10 August by Sandip Ghosh

RG Kar:সন্দীপের নির্দেশেই ক্রাইম সিনের পাশে ‘সংস্কার’! প্রকাশ্যে ১০ আগস্টের বিস্ফোরক নথি

আরজি কর-কাণ্ডে এবার সামনে সন্দীপ ঘোষের সই সম্বলিত বিস্ফোরক চিঠি! আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের তদন্তে প্রথম থেকেই যে একাধিক অভিযোগ উঠছে, তার মধ্যে একটি অন্যতম হল, তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবার এই দাবি করে এসেছে গোড়ার দিন থেকেই। শুধু অভিযোগ নয়, এমনটাও দেখা যায়, ঘটনার পরেই সেমিনার রুম সংলগ্ন এলাকা ভেঙে ফেলা হয় সংস্কার করার জন্য।  এবার জানা গেল, সেমিনার রুম সংলগ্ন জায়গা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নিজেই।

১০ অগাস্ট অর্থাত্‍ ধর্ষণ ও খুনের দ্বিতীয় দিনেই ঘটনার জায়গায় মানে ‘ক্রাইম সিনে’ নির্মাণকাজ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন খোদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, স্বাস্থ্যভবনের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ অগাস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং মেডিক্যাল এডুকেশনের ডিরেক্টরের সঙ্গে আরজি করের বোর্ড রুম মিটিংয়েই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাত্‍ সন্দীপের নির্দেশেই ক্রাইম সিনের পাশে শুরু হয় ‘সংস্কার’!

আরজি করে এই ভাঙচুর নিয়ে যখন আদালতে প্রশ্ন উঠেছিল, তখন কর্তপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল, এই সংস্কারের সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। সেই মোতাবেকই কাজ হয়। তবে পিডব্লিউডি-র কাগজে স্পষ্ট হয়ে গেল, এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেই সন্দীপ ঘোষ পূর্ত বিভাগের সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সংস্কারের।

ওই নির্দেশনামায় উল্লেখ করা রয়েছে, ১০ অগস্ট আরজি করের প্ল্যাটিনাম জুবলি বিল্ডিংয়ে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েকের উপস্থিতিতেই সংস্কার-জনিত ভাঙচুরের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই মতোই নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। অর্থাৎ নির্দেশনামার বয়ানে স্বাস্থ্যভবনও জড়িয়ে রয়েচে।

এই ঘটনা সামনে আসতেই সুর চড়িয়েছেন আন্দোলনকারীরা তথা বিরোধীরা।

চিঠি সামনে আসার পরই ‘মিথ্যাচার’-এর অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এই চিঠি নিয়ে রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও পুলিসকে নিশানা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।