ফাঁসানোর তত্ত্বে অনড় রইলেন আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। শুধু তাই নয়, কে ফাঁসিয়েছে এবার তার নামও জানাল অভিযুক্ত।
সোমবার থেকে শিয়ালদহ আদালতে শুরু হয়েছে আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের শুনানি। সকালেই অভিযুক্ত সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয়েছিল আদালতে। আদালতে নির্যাতিতার বাবা হাজির ছিলেন। আর ছিলেন নির্যাতিতার এক প্রতিবেশী সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ও, যিনি নিজেকে ‘কাকু’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। অনুমান, তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেই প্রক্রিয়া চলে। বিকেল ৫টার একটু পরে আদালত থেকে সকলকে বেরোতে দেখা যায়। যে হেতু আরজি কর মামলায় ‘ইন ক্যামেরা’ বিচার শুরু হয়েছে, সেই কারণে সকলেই মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। ব্যতিক্রম ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার!
এদিন সন্ধের মুখে কড়া পুলিশি প্রহরায় আদালত থেকে বেরানোর সময় প্রিজন ভ্যানের ভিতর থেকে সঞ্জয়কে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে’। প্রিজন ভ্যানের জানলার কাছে মুখ এনে তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। বড় বড় অফিসার সব! আমি নাম বলে দিচ্ছি। বিনীত গোয়েল আমাকে ফাঁসিয়েছে। বিনীত গোয়েল, ডিসিডিডি স্পেশ্যাল সাজিশ করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমাদের সরকারও ওদের সমর্থন করেছে।’’ প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পরেই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বিনীতকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বর্তমানে লালবাজারের ডিসিডিডি স্পেশ্যাল পদে রয়েছেন বিদিতরাজ বুন্দেশ।
গত সপ্তাহেও শিয়ালদহ আদালত থেকে বেরোনোর সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার। বলেছিলেন, ‘‘আসলদের বাঁচানোর জন্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’’ সরকার ও ‘ডিপার্টমেন্ট’ তাঁকে ভয় দেখাচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। ধৃতের কথায়, ‘‘আমি রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমি বললাম যে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে সেখানেও যেতে দিল না। সরকার আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছে যে তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমি পুরোপুরি নির্দোষ।’’