পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে পুলিশকর্মীর এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত মহিলার নাম রিমা সিংহ (২৮)। হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা রিমা পেশায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট বলে জানিয়েছেন তাঁর মা। অনটনের পরিবারে রিমার বিয়ের কথাও চলছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে পার্কসার্কাসে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য চোডুপ লেপচার গুলিতে প্রাণ হারান রিমা। হাওড়ার পশ্চিম দাশনগরের ফকির মিস্ত্রি বাগানের বাসিন্দা ২৮ বছরের রিমা ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। বছর পাঁচেক আগে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একপ্রকার বাড়িতেই বসে বাবা অরুণ সিং। মা মীরা সিং গৃহবধূ। ২২ বছরের ভাই উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পর বেকার। রিমা চেয়েছিলেন ভাইকে আরও লেখাপড়া করাতে। তাই কাজ করতে বারণ করেছিলেন। নিজে গ্র্যাজুয়েশনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি করতেন। এই ফিজিওথেরাপি থেকে আয় দিয়েই চলত সংসার। দিদা সাবিত্রী সামন্তের দেখভালের দায়িত্বও ছিল রিমার উপরই। তাঁর আচমকা মৃত্যুতে যেন ভেসে গেল গোটা সংসার।
আরও পড়ুন: Weather Update: কিছু ক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি! ৪০কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
রিমার মায়ের কথায়, ‘‘আমার মেয়েটা যে এ ভাবে চলে যাবে তা ভাবতেও পারিনি। ও বেলা ১২টা নাগাদ হাসতে হাসতে বেরোল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘কখন ফিরবি?’ ও বলল, ‘সন্ধ্যায় ফিরব।’ এর কিছুটা পর আমাদের বাড়িওয়ালা আমাকে ডেকে বললেন, ‘রিমার মৃত্যু হয়েছে গুলিতে।’ ওর বিয়ে স্থির হয়েছিল। আমাদের হবু জামাই প্রবীরের বাবা মারা গিয়েছে। আজ বিয়ের দিন স্থির করার কথা ছিল। সেই জন্য প্রবীর এসেছিল।’’
রিমা তাঁর পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন। রিমার মায়ের কথায়, ‘‘ওর বাবার পাঁচ বছর কারখানা বন্ধ। আমার মেয়েই সংসার চালাত।’’ এ ছাড়া রয়েছে রিমার এক ভাইও। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন