৪ টি আসন বাদে বাংলার বাকি আসনগুলিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তবে সেই তালিকায় নাম নেই অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের। সেই আবহে দোলের দিন কমপক্ষে দলের ৭৭ টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন রুদ্রনীল। হঠাৎ কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এলেন বিজেপি নেতা? তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি রঙ বদল করতে চলেছেন রুদ্রনীল?
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় সব আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেও বিজেপির তরফে নেই রুদ্রনীল ঘোষের নাম। কৃষ্ণনগর, বারাসত, যাদবপুরের মতো লোকসভা আসনে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম উঠলেও, টিকিট পাননি রুদ্রনীল! শোনা যায়, এর পরেই ‘মনখারাপ’ হয় রুদ্রনীল ঘোষের। কেউ কেউ দাবি করেন, এতদিন দলের জন্য সর্বস্ব দিয়েও টিকিট ‘না পাওয়া’ মানতে পারেননি তিনি!
যদিও এই বিষয়ে জানতে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। রুদ্রনীল বলেন, “দলের ১০-১১টি গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছি। কিন্তু একাধিক গ্রুপে অ্যাড ছিলাম। যে যেমন পারছিলেন অ্যাড করছিলেন। এত ভিডিও দেখে আর পারছিলাম না। ফোনটা ভরে যাচ্ছিল। দোলের দিন, ফাঁকা ছিলাম। সেই সব গ্রুপ থেকেই সরে গেলাম। প্রায় ৭৭টা গ্রুপে অ্যাড ছিলাম আমি।”
যদিও লোকসভায় টিকিট না পাওয়া নিয়ে খানিকটা অন্য সুর রুদ্রনীলের গলায়। তাঁর কথায়, “আমি দলের জন্য, দলের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি রোজ। কঠিন আসন ভবানীপুরে লড়েছি। আশা তো একটা ছিলই, লোকসভায় যাঁরা টিকিট পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আমিও থাকব, এমন আশা কেন থাকবে না বলুন তো! কিন্তু দল যা ভালো ভেবেছে সেটাই করেছে। আমাকে অন্য দায়িত্ব দেবে হয়তো!” দুঃখ পেয়েছেন? রুদ্রনীলের সাফ জবাব, ”আক্ষেপ বা দুঃখ কিছু হয়নি। কিন্তু আশা ছিল না, এটা বললে মিথ্যা বলা হবে।”
বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুদ্রনীল বলেন, ‘আমি সবথেকে বেশি পড়েছিলাম কৃষ্ণনগরে। একাধিক সভা করেছি পঞ্চায়েত নির্বাচনে। গলাও অনেক সময় সঙ্গ দিত না। সেখানকার মানুষ আমাকে ভালোবাসেন।’ পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ‘রানিমা’ অমৃতা রায়কে প্রার্থী করা প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে বারবার তাঁর বয়সের উপর জোর দিতে শোনা যায় রুদ্রনীলকে। তিনি বলেন, ‘৬৩ বছর বয়সে মানুষ বিশ্রাম নেন। সেখানে গিয়ে তিনি যে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তার জন্য শ্রদ্ধা জানাই।’
টিকিট না পেয়ে বিজেপি ছাড়তে চলেছেন অভিনেতা? জল্পনা উড়িয়ে তাঁর দাবি, “দলের জন্য কাজ করছি। অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাই বলে, এক্ষুণি দল ছেড়ে দেব, এমন সম্ভাবনা নেই। কোনও দিন নতুন কিছু ভাবব কিনা, পরে জানাব। আমি বিজেপিতেই আছি। আমি তো সারাদিন কবিতা লিখি না, মাঠে-ঘাটে গিয়ে দলের কাজ করি।”