বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (যেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দফতর রয়েছে)-এ হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন। যদিও তার আসার কথা ছিল সকাল ১১টা নাগাদ।
সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee) কলকাতা বিমানবন্দর মারফত দুবাই (Dubai) যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বাধা দেয় অভিবাসন দফতর। তারপরই কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরাকে তলব করে ইডি। আজ অর্থাৎ ৮ই জুন রুজিরাকে ইডির কলকাতা অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইডি।
অন্যদিকে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নয়াদিল্লি থেকে গতকালই কলকাতায় এসেছে ইডি তদন্তকারীদের একটি দল। সুতরাং জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। ইডি সূত্রে খবর, রুজিরাকে তাঁর বিদেশ যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। সেখানের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে। শুধু তাই নয়, রুজিরার বিদেশ যাত্রার বিষয়ে আদালতের ঠিক কী নির্দেশ রয়েছে সেটাও জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা।
সম্প্রতি কলকাতা এসেছিলেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার সিং। কলকাতার সমস্ত উচ্চ পদাধিকারী অফিসারদের নিয়ে তিনি একটি বৈঠক করেন। এরপরই রুজিরা বন্দোপাধ্যায়ের দুবাই যাওয়ার চেষ্টা এবং বাধা পেয়ে সেই চেষ্টা বিফল হওয়া ও তারপরই তাঁকে ইডির তলব যে সন্দেহ বাড়াচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপিকে টার্গেট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপি সমস্তটাই নবজোয়ার যাত্রা দেখে ভয় পেয়ে করছে। সমস্তটাই বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, তাঁর স্ত্রী ও তাঁর সন্তানদের গ্রেফতার করলেও বিজেপির কাছে মাথা নত করবেন না তিনি।