এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পরেই মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থকে সরানোর দিনই তিনি বলেছিলেন, ‘‘পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে থাকছে। হয়তো কিছুই করব না, কিন্তু যত ক্ষণ না নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করছি তত ক্ষণ এই দফতরগুলি আমার কাছে এসেছে।’’ সেই মতো বুধবার মন্ত্রিসভার রদবদলে পার্থের হাতে থাকা দফতরগুলি ভাগ করে দিয়েছেন মমতা।
পার্থের হাতে শিল্প ছাড়াও আরও দু’টি দফতর ছিল। তথ্য প্রযুক্তি ইলেকট্রনিক্স এবং পরিষদীয় দফতর। এই তিনটি দফতর পেলেন শশী পাঁজা, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভায় নবাগত বাবুল সুপ্রিয়। এত দিন শশীর হাতে ছিল নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগ ও স্বনির্ভর গোষ্ঠী দফতর। এখন স্বনির্ভর গোষ্ঠী রইল না। তার বদলে শিল্প ও বাণিজ্য এল তাঁর হাতে। একই সঙ্গে রয়েছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠন বিভাগ। পার্থের হাতে থাকা পরিষদীয় দফতর পেলেন অভিজ্ঞ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কৃষি দফতরের পাশাপাশি তিনি পরিষদীয় দফতরও সামলাবেন। অন্য দিকে, পার্থের হাতে থাকা তথ্য প্রযুক্ত এবং ইলেকট্রনিক্স দফতর পেলেন বাবুল। পাশাপাশি, পর্যটন দফতরও থাকছে তাঁর হাতেই। মলয় ঘটকের হাতে থাকা পূর্তদপ্তরের দায়িত্ব পেলেন পুলক রায়।
আরও পড়ুন: দলের সমস্ত পদও খোয়ালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নবান্ন থেকে সরল নেমপ্লেট
দায়িত্ব কাটছাঁট হল ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। হাতবদল হল পরিবহণ এবং আবাসন দপ্তরের। পরিবহণ দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন মন্ত্রিসভার নতুন মুখ স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আবাসন দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন অরূপ বিশ্বাস। ফিরহাদের হাতে রইল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্ব।
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন হুমায়ন কবীর, সৌমেন মহাপাত্র, রত্না দে নাগ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় প্রত্যাশামতোই বাদ পড়লেন শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। ওয়াকিবহাল মহল বলছে যে এবারের মন্ত্রিসভার ছবি দেখে একটা বিষয় স্পষ্ট, মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শেষ কথা ভাবমূর্তিই। দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে মন্ত্রিত্ব-দলের সদস্যপদ সবই খোয়াতে হবে।
আরও পড়ুন: student’s death: কলকাতায় মেডিক্যাল ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু, হোস্টেলের ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার