কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন বাঙালি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। তবে কোনও অসুস্থতার কারণে নয়, পেসমেকার বদলের জন্য ভর্তি হয়েছেন তিনি।পরিবারের তরফে জানা গেছে, আপাতত ভাল আছেন ৮৮ বছর বয়সি সাহিত্যিক। দিন দুয়েক আগে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে, পেসমেকার বদলানোর জন্য। তা ভালভাবে বদলানো হয়েছে। শীর্ষেন্দুর কন্যা দেবলীনা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বাবা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁর রুটিন চেকআপ করানো হচ্ছে। বাবার বুকে পেসমেকার বসানো ছিল। সেটা রিপ্লেসমেন্ট করা হয়েছে। বাবা এখন ভাল আছেন। সোমবার পেসমেকার রিপ্লেসমেন্ট হয়েছে। বাবাকে জেনারেল বেডেই রাখা হয়েছে।”
যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন শীর্ষেন্দু, সেই একই হাসপাতালে ভর্তি আছেন টলিপাড়ার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ও। শীর্ষেন্দু-কন্যা দেবলীনা হাসপাতালে গিয়ে জেনেছেন, সন্ধ্যা রায়ের ভর্তি থাকার কথা। বলেছেন, “আমি এখানে এসেই জানতে পেরেছি সন্ধ্যা রায়ও ভর্তি আছেন এই একই হাসপাতালে। কিন্তু আমি তাঁকে দেখতে যেতে পারিনি। ওরকম শরীর খারাপ আছে, ডিস্টার্ব করা তো ঠিক নয়…”
অনেকদিন ধরেই বুকে পেসমেকার বসানো রয়েছে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের। চিকিৎসার নিয়ম অনুসারেই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সেই পেসমেকার বদলাতে হয়। তাঁর পেসমেকারটি পুরনো হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। তাই তা বদলানোর জন্য তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দু’দিন আগে।
সাধারণত রোগীর শরীরে পেসমেকার বসানো থাকলে, তা নির্দিষ্ট সময় পরপর বদলে নিতে হয়। পেসমেকারের কারণে বর্ষীয়ান লেখকের যাতে অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা তৈরি না হয়, তাই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালেই হয় এই অপারেশন। পেসমেকার বদলানোর পর সামান্য শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তবে পরিস্থিতি এখন অনেকখানি স্বাভাবিক। ৮৮ বছরের সাহিত্যিক দিন দুয়েকের মধ্যেই ফিরতে পারবেন বাড়ি।