নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি’র পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছিল। তাই পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে সোমবারই ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হয়েছে। এমনকী রাতটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরেই কাটালেন কল্যাণময়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ইডির দফতর থেকে তাঁকে কেউ বেরোতে দেখেননি। যদিও এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসাররা।
গতকাল, সোমবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছন কল্যাণময় ভট্টাচার্য। তখন থেকেই দফায় দফায় ইডির প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে তাঁকে। আগেও দু’বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কল্যাণময়কে। সেই দু’বারই হাজিরা দেননি তিনি। ইডিকে তিনি ইমেল করে জানিয়েছিলেন, বিদেশে আছেন তিনি। তবে রবিবার রাতেই কল্যাণময় দেশে ফেরেন এবং সোমবার দুপুরে হাজিরা দেন। আর ইডি প্রাক্তন মন্ত্রীর জামাইয়ের জন্য প্রশ্নপত্র সাজিয়ে রাখে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, কল্যাণময়ের কাছে ইডি মূলত জানতে চায় সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য। শেয়ার কেনাবেচা ও জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কল্যাণময়ের যোগের সূত্র মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।একইসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের যে স্কুলের তিনি চেয়ারম্যান, সেই স্কুল কেনার ক্ষেত্রে যে আর্থিক লেনদেন হয় তা কোন পথে হয়, এই বিপুল টাকার উৎস কী তাও জানতে চায় ইডি। একইসঙ্গে যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময়ের শ্বশুর পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ইডি গ্রেফতার করে, সেই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও জানার চেষ্টা করছে ইডি।