Sovan Chatterjee again defend Baishakhi Banerjee in face book live

Sovan Chatterjee: ‘ওকে আমিই সিঁদুর পরতে বলেছি’, বৈশাখীর হয়ে বললেন শোভন

সোমবার আলিপুর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বৈশাখীকে লক্ষ্য করে একের পর এক মন্তব্য করেছিলেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন সিঁদুর পড়েন বৈশাখী? ওনার তো ডিভোর্স হয়ে গেছে। নিজের মেয়েটাকে কেন বার বার আমার স্বামীর সন্তান বলে সব জায়গায় পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন? তারই জবাব এল আজ, মঙ্গলবার দুপুরে।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee) সিঁদুর পরার অধিকার দিয়েছেন তিনিই। ফেসবুক লাইভে এসে বলে দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। সেই সঙ্গে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর আক্রমণ, বৈশাখীর সিঁদুর পরা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও অধিকার তাঁর নেই।১৬ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ওই ভিডিয়োয় রত্নার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শোভন। পাশে দাঁড়িয়েছেন বৈশাখীর। শোভনকে বলতে শোনা যায়, ‘ফেসবুকে আসতে বাধ্য হলাম কয়েকটি ঘটনার জন্য। গতকাল ডক্টর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত চত্বর থেকে যে ধরনের অঙ্গভঙ্গি করে ভীত সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চলছিল, তা মেনে নেওয়া যায় না।’

শোভন বলেন, “জেনে রাখুন, বৈশাখীকে সিঁদুর পরার অনুরোধ আমিই করেছিলাম। উপদেশ যদি কেউ দিয়ে থাকে তার নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়।” বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক রত্নার উদ্দেশে প্রাক্তন মহানাগরিকের তোপ, “উনি বলেছেন বৈশাখী ছেলেধরা। কিন্তু ২২ বছর সংসার করার পর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আমি করেছিলাম একটি কারণেই। ২২ বছর পর আমি বুঝতে পেরেছি, আমি একজন ছেলেধরার অভ্যাসে অভ্যস্ত মহিলার সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছি।” এরপরই শোভনের স্পষ্ট ঘোষণা,”আমি যতদিন বেঁচে থাকব, বৈশাখী সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্র পরবেন।”

সোমবার শোভন-রত্নার ডিভোর্সের মামলার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন তাঁরা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী। তিনি আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) অহেতুক প্রচুর লোক নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছেন। বৈশাখী দাবি করেন, অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা হচ্ছে তাঁর। সরাসরি নিশানা করেন বিধায়ককে।