SSC Scam: shoe thrown at Partha Chatterjee at Joka ESI Hospital after his medical test

SSC Scam: পার্থকে জোকায় জুতো ছুঁড়লেন মহিলা! বললেন, টাকে লাগলে শান্তি পেতাম

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়লেন এক মহিলা। মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে তখন বের করানো হচ্ছিল পার্থকে। বেরোনোর সময় তাঁর গাড়ির দিকে জুতো ছোড়েন ওই মহিলা। যদিও জুতো পার্থের গায়ে লাগেনি। গাড়িতে লেগেই পড়ে যায় জুতো।

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির (ED) আদালতের নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ৪৮ ঘণ্টা পরপর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ছিল সেই দিন। দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জোকার ইএসআই হাসপাতালে। সেখান থেকে বেরনোর পথেই ‘জুতো’ হামলার মুখে পড়লেন পার্থ। হঠাৎই তার গাড়ির দিকে ছুটে এল এক পাটি জুতো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আরও একটা! পার্থের দিক থেকে সবার নজর চকিতে ঘুরল পিছনের দিকে। কে এই মহিলা? কোনও চাকরিপ্রার্থী কি? কী পরিচয়, কোন রাগে হঠাৎ এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থের দিকে জুতো ছুড়লেন?

আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ৩৮ তৃণমূল বিধায়ক’, ‘শীতঘুম’ কাটিয়ে দাবি মিঠুনের

মহিলার নাম শুভ্রা ঘোড়ুই। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা এলাকার বাসিন্দা। মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।পার্থকে জুতো ছুড়ে শুভ্রা বলতে থাকেন, ‘‘ওঁকে জুতো মারতে এসেছিলাম। জুতো মেরে এখন খালি পায়ে বাড়ি যাব।’’ কেন ছুড়লেন জুতো জোড়া? ঝাঁঝিয়ে উঠে শুভ্রার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘কী জন্য জুতো মেরেছি আপনারা জানেন না? কত গরিব মানুষের টাকা… কোটি কোটি টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট কিনছে!’’ এখানেই থামেননি শুভ্রা। মাস্ক ঠিক করে আঙুল তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এসি গাড়ি চড়িয়ে হুইল চেয়ারে করে ঘোরাচ্ছেন (পার্থকে)!  এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। আমরা ঠিক মতো ডাক্তার দেখাতে পারছি না। গলায় দড়ি দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাবেন। আমি আরও খুশি হতাম, ওই জুতোটা যদি ওঁর টাকে লাগত।’’

শুভ্রাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কেন এই কাজ করলেন? তারই জবাব শুভ্রা বলেন, ‘‘এটা আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। হাজার মানুষ চাকরি পায়নি ওঁদের জন্য। তাঁদের সবার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’’ নিতান্তই সাধারণ বেশভূষা। সুতির শাড়ি। মুখে মাস্ক, মাথায় সিঁদুর, কপালে টিপ। চুল খোঁপা করে বাঁধা। দেখে বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ। তাঁকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের ভিড় বাড়তেই শুভ্রা জানান, তাঁর বাড়ির লোক অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওষুধ কিনতে যেতে হবে। বলেন, ‘‘আমাকে দয়া করে ছেড়ে দিন। আমি হাই পাওয়ারের ওষুধ খাচ্ছি। সব সময় মাথা ঘুরছে।’’এর পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে খালি পায়েই বাড়ির দিকে হনহনিয়ে হাঁটা দেন তিনি।

আরও পড়ুন: Fire: নিমতলার কাঠের গুদামে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০ ইঞ্জিন