আরজি কর হাসপাতালে রক্ত মাখা গ্লাভসের পর এবার এসএসকেএম হাসপাতালে মরচে ধরা কাঁচি। প্রসূতি বিভাগে অপারেশন থিয়েটারে রোগীর পেট কাটতে গিয়ে ভেঙে গেল মরচে ধরা কাঁচি। সেই ভাঙা কাঁচির ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে সরব জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।
এক প্রসূতির সি সেকশন করার প্রয়োজনীয়তা পড়ে। অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে চিকিৎসক কাঁচিতে হাত দেওয়ামাত্রই অঘটন। কাঁচি খুলে দুভাগ হয়ে যায়। যদিও ওই কাঁচি প্রসূতির কাছ পর্যন্ত পৌঁছয়নি। অন্য কাঁচি দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই তরুণীর শারীরিক সমস্যা হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠছে, একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে কেন এমন ‘মরচে ধরা’ কাঁচি ব্যবহার করা হবে।
ভাঙা কাঁচির ছবি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন চিকিৎসক রশ্মি চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর হাতেই ভেঙে গিয়েছিল কাঁচিটি। রশ্মির আরও অভিযোগ, এই প্রথম নয়, এর আগেও এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় ছুরি, কাঁচি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা হয়েছে। তিনি এই নিয়ে অপারেশন থিয়েটার (ওটি)-এর দায়িত্বে থাকা সিস্টার-ইন-চার্জকেও মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। রশ্মির এই পোস্ট সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা সামনে আসার পর রোগীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
প্রসঙ্গত, এর আগে আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রক্তমাখা গ্লাভস এসেছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য ছিল, এর আগেও আরজি করে এই ধরনের অপরিষ্কার গ্লাভসের জোগান দেওয়া হত। সে সময়েও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে লাভ হয়নি। মাঝে বেশ কিছু দিন নোংরা গ্লাভসের জোগান বন্ধ ছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের এই অভিযোগের তদন্ত চান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমও। সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়।