ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের (National Medical College) পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ছড়াল চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, MBBS-এর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী ছিলেন সোদপুরের বাসিন্দা প্রদীপ্তা দাস (২১)। সোমবার হোস্টেল থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা বলে অনুমান করছে, তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে। প্রদীপ্তার গলায় লাগানো ছিল ওড়নার ফাঁস। জানা গিয়েছে, এ দিন তাঁর রুমমেট ক্যান্টিনে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। প্রদীপ্তাকে বারবার ডেকেও কোনও সাড়া পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Arpita Mukherjee: ফের অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২০ কোটি, ৩ কেজি সোনা!
দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ফাইনাল ইয়ারের ওই মেধাবী ছাত্রী। কিছুদিন আগে মনোবিদও দেখিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় বর্ষে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন প্রদীপ্তা। এবারের পরীক্ষা নিয়ে তিনি উদ্বেগে ছিলেন। বাড়িতে জানিয়েছিলেন, কিছু মনে রাখতে পারছিলেন না বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী বাবা প্রশান্তকুমার দাস মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ছুটে যান ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। তিনি জানান, চার দিন আগে মেয়ে তাঁকে জানায় পড়াশোনার অত্যধিক চাপ। আর পারছে না সে। মেয়েকে তিনি সাহস জুগিয়েছিলেন। তিনি মেয়ের এই সমস্যা হেলাফেলা করেননি। গত রবিবারই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর সোমবার সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় প্রদীপ্তা। পৌঁছে বাড়িতে ফোনও করে। দুপুরে ক্লাস শেষে মধ্যাহ্নভোজও সারেন। তারপর যান হস্টেলে। এ দিন মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয় তাঁর। আর বিকেলেই আসে মৃত্যুসংবাদ!