পরিবেশকর্মী, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ— সুচেতনা ভট্টাচার্যকে বাংলার মানুষ এই পরিচয়গুলিতেও চেনেন। পাশাপাশি তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কন্যা। কিন্তু নিজের এই ‘কন্যা’ পরিচয় তিনি আর রাখতে চান না। নিজেই জানিয়েছেন, তিনি লিঙ্গান্তর করে ‘সুচেতন’ হতে চলেছেন।
সম্প্রতি সুচেতনা ভট্টাচার্য একটি LGBTQ কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন। সেই কর্মশালায় একজন অংশগ্রহণকারী সুচেতনার লিঙ্গ পরিবর্তনের ইচ্ছে নিয়ে দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন। পোস্টে লেখা, ‘সুচেতনা আজ থেকে সুচেতন’।
সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-কে সুচেতনা এক ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি মানসিক ভাবে দীর্ঘ দিন ধরেই ‘ট্রান্স ম্যান’। এবার তিনি শারীরিক ভাবেও সেটি হতে চান। এই সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা সমাজের মূল ধারারই মানুষ। আমাদের আলাদা চোখে দেখবেন না।’
জানা গিয়েছে, লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হওয়ার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন সুচেতনা। এরপর চিকিত্সা সংক্রান্ত বাকি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৪১ বছর বয়সী সুচেতনা জানিয়েছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তে বাবা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷ তবে তাঁর পারিবারিক পরিচয় এই ক্ষেত্রে বড় কথা নয়। একজন ট্রান্সম্যান হিসেবে প্রতি দিন তাঁকে যে সামাজিক হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়, তা তিনি বন্ধ করতে চান।
সুচেতনা (যিনি নিজেকে ‘সুচেতন’ বলেই পরিচয় দিতে চান) জানিয়েছেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। তাঁর এই সিদ্ধান্তে বাবা-মাকে টানার প্রয়োজন নেই। প্রেসিডেন্সির প্রাক্তন এসএফআই সংগঠক মনে করেন, নিজেকে যিনি মানসিক ভাবে পুরুষ মনে করেন, তিনিই পুরুষ। যেমন তিনি নিজেই৷ এখন তিনি সেটা শারীরিক ভাবেও পুরুষ হতে চান।