সঙ্কটজনক ছিলেন। তাও চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। মৃত্যই হল মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সের ৮তলা থেকে নীচে পড়ে যাওয়া রোগী সুজিত অধিকারীর। ঘটনার প্রায় ৫ ঘন্টা পর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লেকটাউনের বাসিন্দা সুজিত।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৩৩ বছরের সুজিতের ‘এপিলেপ্টিক ফিট’ ছিল। ২৩ জুন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়। শনিবার সকালে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি হাসপাতালের জানলা দিয়ে বেরিয়ে আটতলার কার্নিশে চড়ে বসেন। ঘণ্টা দেড়েক ধরে সেখানেই বসে থাকার পর এক সময় কার্নিশ ধরে ঝুলতে থাকেন। তখন তিনি হাত ফস্কে নীচে পড়ে যান। নিচে দমকলকর্মীরা থাকলেও সুজিত পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পান।
আরও পড়ুন: Suicide: থানায় ই-মেল করে আত্মহত্যা! পুলিশ পৌঁছে পেল লিভ ইনে থাকা যুগলের দেহ
শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে হাসপাতালের চিকিৎসক অভীক রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘণ্টা দুয়েক ধরে দমকল চেষ্টা করেছিল রোগী যাতে ঝাঁপ না দেন। কিন্তু তিনি ঝাঁপ দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছিলেন। পড়ে যাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালের এর্মাজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর তাঁকে আইটিইউ-তে ট্রান্সফার করানো হয়েছিল। আমরা সব রকম ভাবে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।’’
কীভাবে ঘটল তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই ঘটনা? কীভাবে রোগী ভেতর থেকে কার্নিশে উঠে গেল? কেন সেই সময় দেখভালের জন্য কোনও নার্সিং স্ট্রাফ ওয়ার্ডে ছিলেন না? একাধিক প্রশ্ন ওঠে আইএনকে-র রোগী নিরাপত্তা নিয়ে। উল্লেখ্য, সুজিত পেশায় গাড়ির চালাক ছিলেন। কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। যাদের বয়স নয় ও দুই। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই সুজিত অবসাদে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: আজ সারাদিন তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরেও ভারী বর্ষণের সতর্কতা