আন্দোলনের নামে বিজেপি কর্মীরা মঙ্গলবার গুন্ডামি করেছে৷ এসএসকেএম হাসপাতালে আহত পুলিশ কর্তাকে দেখতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীদের আক্রমণের সামনে সহনশীলতা দেখানোর জন্য পুলিশকর্মীদেরও কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি৷ অভিষেক বলেন, ‘পুলিশকে স্যালুট৷ আমার সামনে কেউ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করলে মাথায় গুলি করতাম৷’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় গুলি করার বক্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘উনি যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে সমাজবিরোধীদের মতো কথা বলেছেন। ভাষা সন্ত্রাসের নতুন দিগন্তের তিনি উন্মোচন করেছেন।’’
নবান্ন অভিযানের দিন হাওড়া ব্রিজের মুখে সেই মিছিল আটকায় পুলিশ ৷ বড়বাজার এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ ৷ তখনই একটি গলির ভিতরে বিজেপি নেতা, কর্মীদের পিছু নিতে গিয়ে একা পড়ে যান কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৷ বিজেপি নেতা, কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন ৷ পালাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান ওই পুলিশকর্তা। অভিযোগ, এরপরই ওই পুলিশকর্তাকে একা পেয়ে তাঁকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বিজেপি-র কিছু নেতা, কর্মী ৷
আহত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেখা করে বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ ৷ সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, ‘‘উনি আমাকে কিংবা বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে জব্দ করতে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। ওনার এত দম্ভ, অহংকার বাম জমানাতে সিপিআইএম নেতাদেরও ছিল না। আর যাদের ছিল সেই লক্ষ্মণ শেঠ, মজিদ মাস্টাররা আজ হারিয়ে গিয়েছেন। ওনার পরিণতিও ঠিক একই হবে। অপেক্ষা করুন, কয়েকদিনের মধ্যেই ওনার ঠিকানা হবে তিহার জেল।’’