রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শনিবারই ডিএ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পর রবিবার বেলায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেল আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র। সরকারপক্ষ আলোচনায় না বসলে অনশন প্রত্যাহার নয়, সাফ জানালেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।ডিএ আন্দোলনকারীদের নিয়ে শনিবারই টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। সবপক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন। এরপর রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ যৌথমঞ্চের আহ্বায়কের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য রাজভবনে যান। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল।
ডিএ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি সেই বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করবেন।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে আন্দোলনকারীরা জানান, রাজ্যপাল তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। সিভি আনন্দ বোস নিজেও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।
তবে রাজ্যপালের আশ্বাস মিললেও এখনই আন্দোলন বন্ধ করা হচ্ছে না। রাজ্যপালের আশ্বাসের পর কী পদক্ষেপ করা হয়, তা আগে দেখবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা। সেই অনুযায়ী আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।শনিবার রাতে রাজভবন থেকে দু’টি টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চতুর্থ সপ্তাহে পা দিয়েছে, এতে তিনি ব্যথিত। সমস্যাটি জটিল হলেও আলোচনার মাধ্যমেই তার সমাধান সম্ভব।