সরাসরি নিয়োগের দাবিতে বুধবার এক্সাইড মোড়ে জমায়েত করেছিলেন ২০১৪ নন ইনক্লুডেড টেট (TET) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। সকাল থেকে সেই বিক্ষোভে লাগাম টানতে সক্রিয় ছিল পুলিশ (police)। কিন্তু বেলা বাড়তেই শুরু হয় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, এসময়েই এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে হঠাৎই কামড় বসিয়ে দেন ঘটনাস্থলে থাকা এক মহিলা পুলিশকর্মী। পুলিশের কামড় খেয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন ওই আন্দোলনকারী (protester) মহিলা। পরে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। যদিও ওই মহিলা পুলিশকর্মী কামড়ানোর কথা অস্বীকার করেছেন।
ঘটনার একটি ভিডিও বিকেলের পরেই ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গেছে, ওই মহিলা আন্দোলনকারীকে অন্য একজন মহিলা পুলিশ ধরে নিয়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার জন্য টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেইসময়েই হঠাৎ পিছন থেকে ছুটে আসেন ওই অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মী। এরপরই আন্দোলনকারী মহিলার হাত ধরে কামড়ে দেন। ব্যথার চোটে চিৎকার করতে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ, মাঝরাতে করুণাময়ী থেকে টেট বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিল পুলিশ
আক্রান্ত আন্দোলনকারীর নাম অরুনিমা পাল। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায়। তাঁর অভিযোগ, ওঁকে কামড়েই দিয়েছেন ওই মহিলা পুলিশ। হাতের মধ্যে দাঁতের দাগও বসে গিয়েছে। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে হাত পা ছড়েছে অনেকেরই। রাতে জানা যায় অরুণিমা পালকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর পাশাপাশি আরও ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ক্যামাক স্ট্রিটের ঘটনায়। হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অরুণিমা সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে।
গতকাল বিধাননগরের সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনের সামনেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখানেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঠেকাতে সল্টলেকের বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। অপরদিকে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনের সামনেও ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল। এক্সাইড মোড়ে অনেককে আটকও করা হয়। তাঁদের হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় একজনের মাথা ফেটেছিল। পরে সন্ধ্যায় শিয়ালদায় মোমবাতি মিছিল করেন টেট আন্দোলনকারীরা। মিছিল থেকে ওঠে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও।
আরও পড়ুন: Winter-Depression: শীতের আমেজেই নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির পূর্বাভাস