অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সহ ৬ জনকে টেটের সার্টিফিকেট পেশ করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট। মূল মামলার সঙ্গে সংযোগ নেই বলেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত-কন্যার নিয়োগ বৈধ নয় বলে আদালতে চলা টেট মামলাগুলির সঙ্গেই একটি অতিরিক্ত হলফনামা জুড়ে দিয়েছিলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বুধবার ওই হলফনামাটি আদালত গ্রহণ করে। তার ভিত্তিতেই সুকন্যা-সহ ছ’জনকে হাজিরা দিতে বলেছিল হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের মধ্যে আদালতে হাজির থাকতে হবে বলে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ পালন করতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর মধ্যে হাইকোর্টে পৌঁছে যান সুকন্যা মণ্ডলসহ প্রত্যেকে।
আদালতের নির্দেশ মেনে হাই কোর্টে এসেওছিলেন অনুব্রত-কন্যা। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দেন, আদালতে চলা টেট মামলাগুলির সঙ্গে জুড়ে থাকা অতিরিক্ত হলফনামা হিসেবে নয়, যদি সুকন্যা-সহ অভিযুক্ত ছ’জনের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করা হয়, তবে তা শুনতে পারে আদালত। অবশ্য নির্দেশ দিলেও বিচারপতি এই নির্দেশের কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেননি।
আরও পড়ুন: Ballygunge: বিলাসবহুল গাড়ি পিষে মারল পথচারীকে, গ্রেফতার তরুণী
যদিও আইনজীবীদের একাংশ এই নির্দেশের সম্ভাব্য কারণ অনুমান করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, যেহেতু সুকন্যার নিয়োগ ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান (কারণ সুকন্যা প্রায় শিক্ষিকা হিসেবে প্রায় ১০ চাকরি করছেন বলে জানা যাচ্ছে) এবং আদালতে এখন ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের মামলা চলছে। তাই সুকন্যার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ওই বিচারাধীন মামলাগুলির সঙ্গে জুড়তে চাননি বিচারপতি।
আদালতের এই নির্দেশের ফলে অনুব্রতর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে নতুন মামলা করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। ওদিকে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার সময় অনুব্রত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মেয়ের টেট পাশ করা আছে, সার্টিফিকেট আছে। আদালত তাকে তলব করেনি। কাগজ জমা দিতে বলেছে।’
আরও পড়ুন: School Uniform: স্কুল ইউনিফর্ম এবার নীল-সাদা, সরকারি স্কুলে শুরু পোশাক বিলির কাজ