তিলজলায় সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন ও খুনের মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা। ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলেন আলিপুর আদালতের বিচারক। আলিপুরের বিশেষ POCSO আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। নিজেকে বাঁচানোর ক্ষমতা ছিল না শিশুটির।” ২০২৩-র ২৬ মার্চ ওই ঘটনা ঘটে। খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। (Tiljala Case Verdict)
গত বছরের মার্চ মাসে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয় প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে। হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় তিলজলার ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয় তিলজলা
অলোক কুমার নামে ওই ব্যক্তি তিলজলা থানা এলাকার শ্রীধর রায় রোডেরই বাসিন্দা। তাঁর ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দেহ। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় এবং পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
একদিন আগেই ধৃত অশোক শাহকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ নং, ২০১ নং, ৩৭৭ নং, ৬ POCSO Act, ৩৭৬ এ ও বি এবং ৩০২ ধারার প্রত্যেকটিতে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অপহরণ, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, ধর্ষণ ও খুন সব ধারাতেই দোষী সাব্যস্ত হন অপরাধী। ফাঁসি দেওয়া হয় খুনের মামলায়। যে নৃশংসতার সঙ্গে শিশুটিকে খুন করেন তিনি, তা বিরলতম ঘটনা বলে মত আদালতের। শিশুটির উপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে জানান বিচারপতি।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই ঘটনায় বিরলের মধ্যে বিরলতম। সাত বছরের শিশু, যার খেলা করার বয়স, নিজেকে বাঁচানোর সামর্থ্য তার ছিল না।
সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ মাইতি বলেন, ‘‘বড়দের কারও সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে অনেকে তাঁর পোশাক বা চরিত্রের দিকে আঙুল তোলেন। এটা তো সাত বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে! তার খেলা করার বয়স। তাকে এমন নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। মুখ চেপে ওকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটির বাঁচার অদম্য ইচ্ছা ছিল। সে আসামির হাতে কামড়ে দিয়েছিল। পালানোর জন্য ছটফট করেছিল। কিন্তু অত বড় মানুষের সঙ্গে সে পেরে ওঠেনি। তাই এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা।’’