রাজ্যসভায় ফাঁকা আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। সেই আসন এত দিন শূন্য ছিল। রাজ্যসভার উপনির্বাচন আসন্ন। সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল জহরের। সংসদের উচ্চকক্ষে সেই শূন্য আসনে এ বার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করল রাজ্যের শাসকদল। শনিবার সমাজমাধ্যমে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC Rajya Sabha candidate Ritabrata Banerjee) নাম ঘোষণা হতেই তাঁরা যেন কিছুটা দমে গেলেন। কারণ, তৃণমূলের মধ্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে তৃণমূলে আনার নেপথ্যেও ছিলেন অভিষেক। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, ঋতব্রতর নাম তৃণমূল ঘোষণা করার পরই একটি ট্যুইট করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাতে তিনি লিখেছেন, “এই স্বীকৃতি সত্যিই যথার্থ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC Rajya Sabha candidate Ritabrata Banerjee ) নিরলস পরিশ্রমেরই প্রতিফলন এতে দেখা যাচ্ছে। তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের অধিকারের পক্ষে অক্লান্তভাবে কাজ করে গেছেন। সময় লাগতে পারে, তবে প্রতিশ্রুতি, দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ শেষ পর্যন্ত পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়”।
This recognition is truly well-deserved, reflecting the tireless effort @RitabrataBanerj has invested in strengthening the organization and advocating for trade union workers across WB. While it may take time but commitment, performance and hard work are always rewarded in the… https://t.co/6DcM1D5LrZ
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) December 7, 2024
ঋতব্রত একসময়ে ছিলেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের নেতা। আশুতোষ কলেজে পড়াশোনার সময়ে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্নেহের পাত্র ছিলেন ঋতব্রত। ২০১৪ সালে সিপিএম তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল। সিপিএম সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে আগ্রহী ছিলেন বুদ্ধদেব নিজেই। কিন্তু এর পর কয়েকটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য ২০১৭ সালে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করে। বেশ কিছু সময় দলহীন রাজনীতির পর তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত।