মহিলা ভোটের প্রতি বিশেষ নজর থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংসদ থেকে রাজ্যের বিধানসভা, সব জায়গায়ই তুলনামূলক বেশি মহিলা মুখ পাঠাতে সর্বদা স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন তৃণমূল নেত্রী। এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীর তালিকাতেও তার অন্যথা হল না। মোট ৪২টি আসনের মধ্যে ১২টি মহিলা প্রার্থী রয়েছে। যা গতবছর ছিল ১৭। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবছর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় পাঁচ জন মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা কমল।
তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী কারা?
গত বার যাঁরা তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন, এ বার তাঁদের কেউ কেউ বাদ পড়েছেন। পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয়েছে নতুনদের। এ বছর তৃণমূলের তালিকায় মহিলা প্রার্থীরা হলেন— বারাসত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বর্ধমান পূর্ব থেকে শর্মিলা সরকার, বীরভূম থেকে শতাব্দী রায়, বিষ্ণুপুর থেকে সুজাতা মণ্ডল, আরামবাগ থেকে মিতালি বাগ, হুগলি থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাদবপুর থেকে সায়নী ঘোষ, জয়নগর থেকে প্রতিমা মণ্ডল, কলকাতা দক্ষিণে মালা রায়, কৃষ্ণনগর থেকে মহুয়া মৈত্র, মেদিনীপুর থেকে জুন মালিয়া এবং উলুবেড়িয়া থেকে সাজদা আহমেদ।
কাকলি, শতাব্দী, প্রতিমা, মালা, মহুয়া এবং সাজদা গত বারের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। এ বারও এঁদের উপরে ভরসা রেখেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাদ পড়লেন কারা?
গতবারের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন একাধিক মহিলা প্রার্থী। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে মিমি চক্রবর্তী, বসিরহাট কেন্দ্র থেকে নুসরত জাহান, আরামবাগ থেকে অপরূপা পোদ্দার, বর্ধমান দুর্গাপুর থেকে মমতাজ সংঘমিত্রা, মালদা উত্তর থেকে মৌসম নুর, রানাঘাট থেকে রূপালী বিশ্বাস, আসানসোল থেকে মুনমুন সেন। এই সমস্ত কেন্দ্রগুলির মধ্যে যদিও বর্ধমান-দুর্গাপুর, রানাঘাট ও আসানসোলের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছিলেন। মিমি অবশ্য কিছু দিন আগেই বিধানসভায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংসদ পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তবে মিমির ইস্তফার চিঠি গৃহীত হয়েছে কি না, জানা যায়নি। তিনি জানিয়েছিলেন, দলনেত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে সংসদে গিয়েও ইস্তফা দিয়ে আসবেন। ফলে নতুন প্রার্থিতালিকায় মিমির নাম না থাকা একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়।
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে লোকসভায় কেন্দ্রের মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের পরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, লোকসভায় তাঁরা অর্ধেক সংখ্যক (২১ জন) মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, তা হয়নি। বরং আগের চেয়ে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা আরও কমে গিয়েছে।