আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে চড় মারার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডল (তৃণমূলের দাবি, তিনি দলের কেউ নন)। উপাচার্যের ঘরে রীতিমতো তাণ্ডব করেন গিয়াসুদ্দিন-সহ আরও কয়েকজন যুবক। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতে শিক্ষামহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এর পর রবিবার অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করে টেকনো থানার পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল (Viral Video) হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। সেখানে উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে দেখা যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। ভাইরাল ভিডিয়োয় গিয়াসুদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘‘‘ওই গালে দুটো চড়িয়ে দেব। আমার চড়ে প্রচুর লাগে। যে ক’টা তোর ছেলে আছে জিজ্ঞেস করে নিবি।’’
আরও পড়ুন: ‘বারবার কেন মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট?’, এক মাসের মধ্যে হলফনামা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ
সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে এতটুকুও সরেনি গিয়াসউদ্দিন। গিয়াসুদ্দিন নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি দাবি করেছেন, উপাচার্য দুর্নীতিতে যুক্ত। তিনি পাঁচ পড়ুয়াকে অনৈতিক ভাবে পিএইচডি-তে সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন বটে। কিন্তু প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। এ নিয়েই তাঁরা ‘প্রতিবাদ’ জানাতে উপাচার্যে ঘরে গিয়েছিলেন।
তবে উপাচার্যকে হেনস্তার মতো গুরুতর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু হয়েছিল। শেষমেশ ঘটনার ২ দিন পর টেকনো সিটি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে গিয়াসউদ্দিনকে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, ”ও বহুদিন আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিল। কিন্তু নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে আগেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ছিল।
আরও পড়ুন: Rampurhat Massacre: বগটুইকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি অপর্ণা, কৌশিক সহ ২২ বিশিষ্টজনের