TMC’s Kunal Ghosh accuses BJP’s Maniktala Candidate Kalyan Chaubey of bribing him in return of special Favour

Kunal Ghosh: ‘ফোন করে পদের টোপ দিয়েছেন কল্যাণ চৌবে’! রেকর্ডিং প্রকাশ কুণালের

রাত পোহালেই কলকাতা মানিকতলা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার আগে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণাল জানান, মানিকতলায় জিততে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। ভোটের একদিন আগে এই রকম অভিযোগে কিছুটা অস্বস্তিতে বিজেপি।

গত বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সাধন পান্ডে। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন তিনি। বুধবার সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডেকে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপির কল্যাণ চৌবে। তিনি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি।

উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানিকতলা তৃণমূলের কমিটির আহ্বায়ক করেছেন কুণাল ঘোষকে। জোরকদমে ভোটের জন্য প্রচারও করেছেন তিনি। এবার সেই কুণাল ঘোষই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আনেন কুণাল। তাঁর দাবি, রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় কল্যাণ চৌবে তাঁকে ফোন করেছিলেন। তৃণমূল নেতার কথায়, “আমাকে ভোটে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিনিময়ে খেলার জগতে রাজ্য বা জাতীয়স্তরে বড় পদের প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।” যদিও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন কুণাল।

কুণালের আরও দাবি, “মানিকতলায় ভোটে হারবে বুঝেই ঘুষের প্রস্তাব বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের। তৃণমূলের আহ্বায়কের কাছেও প্রস্তাব দিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এটাই বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতি।“

কুণালের আনা এই অভিযোগ যদিও সরাসরি অস্বীকার করেছেন কল্যাণ। তবে একই সঙ্গে তিনি মেনেও নিয়েছেন যে, কুণালের প্রকাশ করা অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের কণ্ঠস্বর তাঁরই। পালটা কল্যাণের দাবি, “কিছুদিন আগে এক মিডিয়েটরের মাধ্যমে উনি জানান উনি বিজেপিতে যোগ দিতে চান। তখন পার্টি তাঁকে নিতে চায়নি। বর্তমানেও একই অবস্থা। এই মাসের শেষে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দেখা করতে চান। আমি যখন বুঝতে পারছি, তিন সপ্তাহ বাদে একজন লোক আমার দলে আসছে, তাহলে তিন সপ্তাহ আগেই তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলি।”

এই দাবির প্রেক্ষিতে কুণালের জবাব, “আমি যদি বিজেপিতে যেতাম তাহলে কি এই অডিও ফাঁস করতাম! গোটা অডিও-তে বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। আর বিজেপিতে যোগ দিতে হলে পচা কল্যাণ চৌবেকে আমার দরকার নেই। আমাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চেনেন।”