ফের কন্যাশ্রী-রূপশ্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইউনিসেফ। সম্প্রতি বণিকসভা সিআইআই ‘ইমপ্যাক্ট ইস্ট, ২০২৪ কনক্লেভ’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ-এর চিফ ফিল্ড অফিস মঞ্জুর হোসেন। তিনি সামাজিক উন্নয়নে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের উজ্জ্বল ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
২০১৭ সালে কন্যাশ্রীকে শ্রেষ্ঠ প্রকল্পের তকমা দেয় খোদ রাষ্ট্রসঙ্ঘ বা United Nations Organization, যাকে অনেকেই UNO বলে ডাকেন। সেই ঘটনা ছিল কন্যাশ্রী প্রকল্পের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। নেদারল্যান্ডসে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেই পুরষ্কার নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর এবার তো খোদ কলকাতা শহরের বুকে দাঁড়িয়ে UNO’র অধীনস্থ সংস্থা United Nations Children’s Fund বা UNICEF’র প্রতিনিধি জানিয়ে দিলেন, কন্যাশ্রী আর রূপশ্রী এই দুই প্রকল্পই শুধু বাংলার বুকে স্কুলছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমিয়ে দিয়েছে তাই নয়, সমাজে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির আর্থিক উন্নতিসাধনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সামাজিক ক্ষেত্রে।
Confederation of Indian Industry বা CII’র Eastern Region দ্বারা আয়োজিত ‘Impact East’, শীর্ষক এক আলোচনাসভায় রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ রাজ্যে নিযুক্ত UNICEF’র Chief of Field Office মঞ্জুর হোসেন কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের ভূয়ষী প্রশংসা করেন।
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মঞ্জুর জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলির ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বাংলার সমাজ ব্যবস্থায়। এই দুই প্রকল্পের সৌজন্যে স্কুলছুটের সংখ্যা এবং বাল্যবিবাহ কমেছে। পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিও আর্থিক উন্নতির মুখ দেখেছে। মেয়েদের উন্নয়নেও এই দুই প্রকল্পের ভূমিকা স্বীকার করতেই হবে। এই দুই প্রকল্প শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিশ্বের দরবারের তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির কাছেও অনুকরণীয়।