পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার কমিশনার পদে রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করেননি সি ভি আনন্দ বোস। ফলে ওই পদে আর রাজীব সিনহার কার্যকরিতা রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাল্টা রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে শাসক দল তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তথা প্রশাসনিক সংঘাত চরমে। এরইমধ্যে আজ পটনা সফরে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টিকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপাল যেটা করছেন নজিরবিহীন! ।উনি নিজে শপথ করিয়েছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী একইসঙ্গে বলেন, ‘আমি মনে করি ওরা যত আমাদের ঘাঁটাবে, যত বাংলাকে অসন্মান করবে তত ভোট বাড়বে। আমরা লড়ে নেব। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে উনি ওনার মত কাজ করুন, শান্তিতে নির্বাচন হবে। শান্তিতে মনোনয়ন হয়েছে। বাংলার বিরুদ্ধে যত কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সি এক হয়ে গিয়েছে। ইলেকশন কমিশনারকে ইনপিচমেন্ট করতে হলে একটা পদ্ধতি আছে। সেই পদ্ধতি মেনেই করতে হবে।”
বিজেপিকে নিশানা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘ওরা যত আমাদের পিছনে লাগবে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থার চেষ্টা করবে, বাংলাকে বঞ্চনা করবে ততই জবাব দেওয়ার জন্য মানুষ তৈরি আছে।’বিরোধীদের তামাম অভিযোগ, আদালতের আশঙ্কা উড়িয়ে পঞ্চেয়েত ভোটের মনোনয়ন কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে বলে ফের একবার দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। অশান্তি বিরোধীদের উস্কানিতে হচ্ছে বলে মত মমতার।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার পরপরই সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহাকে মন্ত্রিসভার সুপারিশক্রমেই নিয়োগ করেছিলাম। ভেবেছিলান উনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত ভোট করাতে পারবেন। কমিশনারের নিরপেক্ষ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ওনার কাজে বাংলার মানুষ হতাশ।’