সদ্য মন্ত্রিত্ব-খোয়ানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি তুলেছিলেন, অবিলম্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করা হোক। সেইসঙ্গে বহিষ্কার করা হোক দল থেকেও। অনেকের মতে, এটা ব্যক্তি কুণালের দাবি বললে ভুল হবে। তৃণমূলে (TMC) একটা বড় অংশেরই দাবি তাই। সন্ধে হওয়ার আগেই সেই দাবিতে সিলমোহর পড়ে গেল।
আরও পড়ুন: Arpita Mukherjee: ফের অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২০ কোটি, ৩ কেজি সোনা!
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। তৃণমূলের মহাসচিব, জাগো বাংলার সম্পাদক, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান—এই সব পদ থেকে পার্থকে সরিয়ে দিল তৃণমূল।
এদিন দুপুরেই তিনটি দফতরের মন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এ বার নবান্নে পার্থের দফতরের দরজা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁর নামফলক। নবান্নের দোতলার একটি অফিসঘরে বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই ঘরের বাইরে তাঁর নেমপ্লেট ছিল। তাঁর মিনিস্ট্রির পোর্টফোলিও ছিল সেখানে। নবান্নে মাঝেমধ্যে যখন পার্থ আসতেন, তখন এই ঘরেই বসতেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলতেন এই ঘর থেকেই। এছাড়া অফিসের কাজকর্মও করতেন এখানে। এই ঘর থেকেই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম লেখা বোর্ডটি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। তার পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের শিল্প, পরিষদীয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থের অধীনে থাকা দফতরগুলি আপাতত দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Arpita Mukherjee: অর্পিতার ফ্ল্যাট যেন সোনার খনি! কী কী উদ্ধার করল ইডি?