ভারতে গত ১২২ বছরের মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। এ মাসে গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এর আগে ১৯০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৮১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
১৯০১ সালের পর থেকে ভারতে এত গরম ফেব্রুয়ারি দেখেননি বলছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাদের হিসেবে আগামী ৩ মাস ভারতের অনেক এলাকায় তাপমাত্রা আগের বছরের তুলনায় বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে থাকবে।
কয়েক বছর আগেও মার্চ পর্যন্ত ঠান্ডার প্রভাব দেখা গেলেও এবার উল্টো। দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান, ওডিশা, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুর কিছু অংশ এবং গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং কেরালার বেশিরভাগ অংশে সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিন মাসে ভারতের বেশিরভাগ অংশে তাপপ্রবাহ বইবে। আর গোটা ফেব্রুয়ারি মাসে দিনের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ১৯০১ সালের পর দিনের নিরিখে এটিই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে। জানানো হয়েছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ৩৫ ডিগ্রি ছাপিয়ে যাবে কলকাতার তাপমাত্রা।
আগামী পাঁচদিন দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রায় একইরকম গরম অনুভূত হবে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলা ও দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া মূলত শুষ্ক হবে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে।
কলকাতায় পরিষ্কার আকাশ থাকবে। পূবালী হাওয়ার দাপট থাকবে। জলীয় বাষ্প ঢোকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়তে পারে। বুধবার সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি ছিল। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকবে ২৩ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।