কলকাতার তাপমাত্রাও ছুঁয়ে ফেলল ৪১ ডিগ্রির গণ্ডি। সল্টলেক আগেই ৪০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দমদমের তাপমাত্রাও বুধবার পৌঁছে গিয়েছিল ৪০ ডিগ্রির ঘরে। কলকাতাতেও দিনের তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি।আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, রবিবারের মধ্যে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হতে পারে।
শুক্রবার কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গরমের নিরিখে রাজ্যে আবারও শীর্ষে পানাগড়। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় তাকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল মেদিনীপুর। শুক্রবার মেদিনীপুরকে পিছনে ফেলে পানাগড়ের দিনের তাপমাত্রা গিয়ে পড়ল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল বাঁকুড়া। সেখানে ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয় পারদ। তার পরেই ছিল আসানসোল। সেখানকার তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ৪১.৬, ক্যানিংয়ে ৪০ ডিগ্রি, দমদম এবং সল্টলেকের তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিঘার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এখনই স্বস্তি মেলার মতো কোনও সুখবরই শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। বরং আগামী কয়েকদিন এমনই অস্বস্তিকর আবহাওয়া সহ্য করতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে আগামী সোমবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার এই জেলাগুলি ছাড়াও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান এবং বীরভূমের কোথাও কোথাও মঙ্গলবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি। যদিও আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, এই বৃষ্টিতে গরম কমবে না। সোম, মঙ্গল দু’দিনই তাপপ্রবাহও চলবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র। শুক্রবার থেকে দক্ষিণের আটটি জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।
গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা দক্ষিণবঙ্গের। সকাল ৭টা থেকেই চড়া রোদ উঠছে সর্বত্র। সারা দিন সেই রোদের তেজে পুড়ছে একাধিক জেলা। স্বস্তির খবর শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিসও। কবে বৃষ্টি পড়বে, কবে থেকে কমবে তাপমাত্রা, এখনও তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।