রাজ্যে বেসরকারি স্কুলগুলির ফি ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করছে কি না, তার উপরে নজর রাখবে প্রস্তাবিত শিক্ষা কমিশন। যদি কোনও বেসরকারি স্কুল এই ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করে, তা হলে কমিশন হস্তক্ষেপ করবে। বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে নিয়মে বাঁধতে রাজ্য সরকার কয়েক বছর আগে যে ভাবে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (স্বাস্থ্য কমিশন) গড়েছিল, এই নয়া শিক্ষা কমিশন সেই মডেলেই তৈরি হচ্ছে।
যদিও শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য কমিশন যে ভাবে কোনও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের অনিয়মে জরিমানা ধার্য করে, শিক্ষা কমিশন সে ভাবে জরিমানা ধার্য করার পথে যাচ্ছে না। নয়া এই শিক্ষা কমিশনের বিধি তৈরির কাজ এখনও চলছে। রাজ্যের আইন দপ্তর সেই খসড়া বিধি খুঁটিয়ে দেখছে।
সদ্যসমাপ্ত রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সূত্রের খবর, জুলাই মাসেই রাজ্য সরকার শিক্ষা কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করতে পারে। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সেই কমিশনের মাথায় রাখা হবে। সঙ্গে রাখা হবে সরকার মনোনীত শিক্ষা বিষয়ক প্রতিনিধিদের। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা এ-ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলেই বিকাশ ভবন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: Dev: ইডির মুখোমুখি হলেন সাংসদ–অভিনেতা, কী নিয়ে শুরু জিজ্ঞাসাবাদ?
ছেলেমেয়েদের ভালো শিক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যেই অভিভাবকরা বেসরকারি স্কুলের দ্বারস্থ হন। কিন্তু, সেই সুযোগে বেসরকারি স্কুলগুলি যেভাবে দিন দিন পড়াশোনার খরচ বৃদ্ধি করছে, তাতে এই শিক্ষা কমিশন তৈরি আবশ্যিক হয়ে পড়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক।
শিক্ষা দফতর এক আধিকারিকের কথায়, “আমরা সরাসরি বেসরকারি স্কুল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। তবে, কোনও অভিযোগ থাকলে স্বাস্থ্য কমিশন যেমন কাজ করে, শিক্ষা কমিশনও মানুষের স্বার্থে সেই কাজ করতেই পারে। কমিশন তৈরির কথা আগেই ঘোষণা হয়েছিল, এবার তা বাস্তবায়নের পথে।
আরও পড়ুন: Swasthya Sathi দুর্নীতি ! মমতার হুঁশিয়ারির পর ৭ নার্সিংহোমকে ১.৫ কোটি টাকা জরিমানা