West Bengal Municipal Election 2022: Calcutta High Court asks WB State Election Commission To Take Decision About Municipal Election/

পুরভোট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছনো সম্ভব? কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের

রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট পিছনোর ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানাল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের তরফে প্রশ্ন বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ির ভোট আগামী ৪ কিংবা ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে কিনা, তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে হাই কোর্ট।

শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে পুরভোট পিছনোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শুনানিতে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ওই চার পুরনিগমের মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে, রাজ্য সরকার নিযুক্ত প্রশাসকেরা কাজ চালাচ্ছেন। ফলে এখন ভোট না হলেও সাংবিধানিক সঙ্কটের প্রশ্ন নেই।

আরও পড়ুন: ৫০% গ্রাহক নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা যাবে সেলুন -পার্লার, নয়া বিজ্ঞপ্তি নবান্নের

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হয় শুনানি। ওই শুনানিতে পুরভোট স্থগিত করার ক্ষমতা কার রয়েছে এ নিয়ে তরজা বেঁধে যায় রাজ্য ও কমিশনের মধ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (West Bengal State Election Commission) তরফে জানানো হয়, একবার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আর তা পিছনোর কোনও এক্তিয়ার তাদের নেই। একমাত্র রাজ্য সরকার যদি অতিমারি আইন অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় এখন ভোট করা সম্ভব নয়, তবে তা পিছনো সম্ভব। তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সহমত নয় রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, একবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আর রাজ্যের কোনও দায়িত্বই থাকে না। সেক্ষেত্রে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার শুধুমাত্র রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরই রয়েছে। দু’পক্ষ সহমত হতে না পারায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয় হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়। রায়দান স্থগিত রাখা হয়।

তবে শুক্রবারের রায়ে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের উপরই ছেড়েছে হাই কোর্ট।

আরও পড়ুন: কলেজের নাম বিকৃত হয়ে ‘লেডি ব্রা’, অক্ষর চুরির অভিযোগ দায়ের থানায়‌