প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে সিবিআই চাইলে এখন পার্থকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে। ঘটনাচক্রে, সিবিআই শুক্রবারই পার্থকে দ্বিতীয় বার হাজিরা দিতে বলেছে নিজাম প্যালেসে।
বুধবারই সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলা ফিরিয়ে দেয়। তার পরই সিবিআই দপ্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। শেষে বিকেল পৌনে ছ’টা নাগাদ কোনও আইনি রক্ষাকবচ ছাড়াই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাড়ে তিনঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকালে ফের কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের উল্লেখ পর্বে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা করেন পার্থর আইনজীবী।
এদিন আদালত জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। তাঁকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন কি না তা ঠিক করবে সিবিআই। সেইসঙ্গে এসএসসি সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় তাঁকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তাঁর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব আদালতে পেশ করা হোক। তাঁর সারমেয়র জন্য নাকতলায় যে ফ্ল্যাট আছে সেই হিসাবও পেশ করা হোক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধীর টাকার উৎস কী? গান্ধী পরিবারের টাকার উৎস কী? তাঁরা কোথা থেকে টাকা পান? পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।” এসএসসি উপদেষ্টা কমিটি নিয়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন কিছু জানতেন না, সে বিষয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেন বিচারপতি।