৪০ জন পড়ুয়া-সহ উধাও তিনটি স্কুল বাস। ছুটির পর প্রায় তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেনি কোনও পড়ুয়া। দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগ করা যায়নি বাস চালকের সঙ্গেও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় সল্টলেক শিক্ষা নিকেতনে (Saltlake Shiksha Niketan)। দুশ্চিন্তায় স্কুলে পৌঁছন অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি।
স্কুল সূত্রে খবর, দুই খুদে পড়ুয়ার ছোট্ট ভুলেই এমন একটা কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সজাগ থাকবেন বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুলের অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর রেখা বৈশ্যের দাবি, নিউটাউনগামী একটি স্কুলবাসে উঠে পড়েছিল দুটি শিশু। অথচ, তাদের নিউটাউনে বাড়িও নয় আর স্কুলের বাসে যাওয়ার কথাও নয়। তাদের খুঁজতে গিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। শুরু উদ্বেগ এবং অজানা আতঙ্কের।
আরও পড়ুন: উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি, ধৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্রনেতা
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে স্কুল ছুটি হয়। ওই দুই পড়ুয়াকে নিতে এসেছিলেন তাদের অভিভাবকরা। কিন্তু স্কুলবাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজে তাদের হদিশ মেলেনি। এর পর স্কুল বাসগুলিতে খোঁজ শুরু হয়। দুটি বাসের চালককে ফোন করে মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়। চলে খোঁজাখুঁজি। কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পর ওই দুই শিশুকে পাওয়া যায় নিউটাউনগামী একটি স্কুলবাসে। অন্য দিকে, ঘড়ির কাঁটা তখন ৩টে পার করে গিয়েছে। ছুটির প্রায় চার ঘণ্টা পরেও খুদেরা ঘরে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান অন্যান্য অভিভাবক। তাঁরা চলে আসেন স্কুলে। বিক্ষোভ শুরু করেন।
খবর পেয়ে ততক্ষণ স্কুলে পৌঁছে যায় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। তাদের উপস্থিতিতে কিছু ক্ষণ বাদে জট কাটলেও ঘটনার গুরুত্ব বুঝে স্কুলে চলে আসে সিআইডি। তবে সিআইডি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু ক্ষণের জন্য নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বাস দুটিতে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো ছিল কি না, বা ঠিক কী হয়েছিল, তা বিস্তারিত জানার জন্য থানা তদন্ত করবে। তারা কোনও রকম সহযোগিতা চাইলে করা হবে। আর অভিভাবকরা জানাচ্ছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
আরও পড়ুন: Bagtui Clash: ভাদু শেখের খুনের ঘটনার তদন্তে CBI, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের