রাজ্যের মহিলাদের জন্য সুখবর। এবার থেকে বিধবা ভাতা প্রাপকদের জন্য মিলবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা। বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন।এতদিন সিদ্ধান্ত ছিল, কোনও মহিলা যদি কোনওরকম ভাতা পান, তাহলে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন না। আর সে কারণেই যে সমস্ত মহিলারা বিধবা ভাতা পাচ্ছিলেন তাঁরা পাচ্ছিলেন না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) সুবিধা। কিন্তু বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বদলে গেল সেই সিদ্ধান্ত। নয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক এখন থেকে কোনও বিধবার বয়স ৬০ বছরের নীচে হলে তাঁরাও লক্ষ্মী ভাণ্ডারের সুযোগ পাবেন।
রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সুবিধা দিতে বুধবার নবান্নে (Nabanna) মন্ত্রিসভার বৈঠকে (Cabinet Meeting) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন বৈঠকে ২৬১টি নতুন পদ (Post) তৈরি করাও হয়েছে, নেওয়া হয়েছে একাধিক সিদ্ধান্ত।
এদিকে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক যাঁরা SC-ST তাঁরা হাজার টাকা পেতেন, ওই টাকা তাঁদের মাসিক রোজগার হিসেবে দেখা হত। স্বাভাবিক নিয়মেই তিনি আর বিধবাভাতার জন্য আবেদন করতে পারতেন না। এই প্রেক্ষিতে বিধবা ভাতার গাইডলাইন বদলানো হতে চলেছে বলেই খবর।
দফতরের এক কর্তা বলেন, ”এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাবদ প্রাপ্ত অর্থ বিধবা ভাতার আবেদনকারীর ক্ষেত্রে মাসিক রোজগার হিসেবে গণ্য করা হবে না। ফলে হাজার টাকা করে যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে পাচ্ছেন তাঁদের আর বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে বাধা রইল না।”
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এদিন আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসে মানুষ যে কোনও অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত তদন্ত করে অভিযোগকারীকে তার জবাব দিতেই হবে। জানানো হয়েছে, ২৭টি প্রকল্পের বাইরে যে কোনও ধরনের অভিযোগ জমা দিতে পারবেন ক্যাম্পে। তবে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এর জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আলাদা করে কাউন্টার খুলতে হবে। অভিযোগ জমা নেওয়ার পর কাউন্টার থেকে প্রাপ্তি স্বীকারের রশিদ অভিযোগকারীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। জমা পড়া প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত করা হবে এবং তারপর তা জানাতে হবে অভিযোগকারীকে। রাজ্যের মুখ্য সচিব প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন