Will CPIM, led by Selim, get path with ‘new’ faces?

ফুটো নৌকার হাল ধরলেন! ‘নতুন’ মুখদের নিয়ে সেলিমের নেতৃত্বে CPIM-কি কুল পাবে?

প্রবীণ নন, এ বার ভরসা রাখতে হবে নবীন প্রজন্মের উপরেই। তাই অনেক আলাপ আলোচনার পর সদস্যদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে সিপিএম পলিটব্যুরো। রাজ্য সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সিদ্ধান্ত ছিল, ৭২ বছরের বেশি বয়সি কাউকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হবে না। একই সঙ্গে আগের মতো ষাট বছরের ঊর্ধ্বের কোনও নেতা নতুন করে রাজ্য কমিটির সদস্য হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিদের তুলেআনতে নিচুতলাতেও বয়সসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে মহম্মদ সেলিমের। রাজ্য-রাজ্যনীতি সম্পর্কে তাঁর সম্যক জ্ঞানও রয়েছে। বাংলা পাশাপাশি হিন্দি ও ইংরেজিতেও সড়গড় মহম্মদ সেলিম। ফলে রাজ্য সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে অন্যান্যকে পিছনে ফেলে সেলিম অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। শেষপর্যন্ত রাজ্য সম্পাদক হিসেবে মহম্মদ সেলিমকেই বেছে নেওয়া হল। সাধারণত কেরালা, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা রাজ্য সম্পাদক হন, তাঁরা পলিটব্যুরোর সদস্য হন। সেই হিসেবে সেলিমও পলিটব্যুরোর সদস্য।

বঙ্গ সিপিএমের প্রথম সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে সম্পাদক হলেন মহম্মদ সেলিম।নতুন মুখ হিসাবে কমিটিতে এলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, শতরূপ ঘোষ, মধুজা সেন রায়, প্রতিকুর রহমানরা। তবে দলকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে মানুষের মধ্যে রেড ভলান্টিয়ার্সদের গ্রহণযোগ্যতা। এবার তাঁদের সামনে রেখেই এগোতে চাইছে বঙ্গ সিপিএম।

আরও পড়ুন: West Bengal Budget 2022: সস্তা হল ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনলে কর মকুব, আর কী আছে বাংলার বাজেটে?

এদিন সেলিম বলেন, “সামাজিক বিন্যাস মাথায় রেখে, মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে প্রবীণ-নবীনের মিশেলে রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে। বয়সের কথা মাথায় রেখে নতুনদের আরও সুযোগ। প্রবীণরাও একটা বয়সের পর থেকে কমিটি আর থাকবেন না। কোভিড, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা সব পরিস্থিতিতেই গত কয়েক বছর আমরা মাঠে-ময়দানে থেকেছি। শত বাধা বিপত্তিতেও মানুষের জন্য কাজ করেছি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বদলে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হয়েছে। ২ সরকারের জন্য মানুষের ভোগান্তি হয়েছে।”

সেলিম আরও বলেন, “কোভিডের সময় স্বল্পমূল্য়ের শ্রমজীবী ক্যান্টিন হয়েছে, অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে। যখন কমিউনিস্টদের এপিটাফ লেখা হচ্ছে, তখন রেড ভলান্টিয়ার্সরা উঠে এসেছে। রেড ভলান্টিয়ার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এটাই আগামিদিন বড় কাজ হবে। ১৬ দফা কর্মসূচি নিয়েছি। সেই অনুযায়ী আগামিদিনে সংগঠন এগিয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন: নাম না করে ‘কাশ্মীর ফাইলস’ দেখতে বারণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়