বাড়িতে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজেশনের (CTM) পদ্ধতি হলো ত্বক পরিচর্যার একটি সাধারণ রুটিন যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। এই পদ্ধতিতে ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার করা, টোনার দিয়ে টানটান করা এবং ময়শ্চারাইজার দিয়ে হাইড্রেট রাখা হয়। নিচে ঘরে বসে এই পদ্ধতি কীভাবে করতে হয়, তা ধাপে ধাপে বলা হলো:
১. ক্লিনজিং (Cleansing)
ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে ত্বকের ময়লা, তেল এবং মেকআপ পরিষ্কার করা হয়।
উপকরণ: মৃদু ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার।
পদ্ধতি:
1. প্রথমে গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন (এটি ত্বকের রোমকূপ খুলে দেবে)।
2. মুখে ফেসওয়াশ লাগিয়ে হালকা হাতে ১-২ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
3. ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২. টোনিং (Toning)
টোনার ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে এবং রোমকূপ ছোট করতে সহায়তা করে।
উপকরণ: টোনার (অ্যালকোহলমুক্ত টোনার ব্যবহার করাই ভালো)।
পদ্ধতি:
1. তুলার প্যাডে টোনার নিয়ে মুখ ও গলায় আলতোভাবে লাগান।
2. নিজে থেকে শুকাতে দিন। টোনার রোমকূপকে ছোট করে ত্বককে প্রস্তুত করবে পরবর্তী ধাপের জন্য।
৩. ময়শ্চারাইজিং (Moisturizing)
ময়শ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখে।
উপকরণ: আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার (শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং ময়শ্চারাইজার এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লাইটওয়েট ময়শ্চারাইজার)।
পদ্ধতি:
1. ময়শ্চারাইজার অল্প পরিমাণে নিন।
2. মুখ ও গলায় হালকা হাতে লাগান এবং আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।
অতিরিক্ত পরামর্শ:
সানস্ক্রিন: ময়শ্চারাইজিংয়ের পরে দিনে বাইরে গেলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে একবার স্ক্রাবিং: ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সপ্তাহে একবার স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
এই পদ্ধতি প্রতিদিন সকালে এবং রাতে অনুসরণ করলে ত্বক স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল থাকবে।