সারাবছর সেভাবে ত্বকের যত্ন না নিলেও দুর্গা পুজোর (durga puja) আগ দিয়ে কিন্তু ঠিক একটু হলেও সময় বার করে আমরা ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফেরানোর চেষ্টা করি। বাজারচলতি অনেকরকম স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট অনেকেই ব্যবহার করেন তবে আপনি যদি একটু সেফ খেলতে চান, মানে দুর্গা পুজোর আগে নতুন কোনও প্রোডাক্ট ট্রাই না করে ঠাকুমা-দিদিমার টোটকাতেই ভরসা রাখতে চান, তাহলে এই ঘরোয়া রূপটানগুলো বেশ কাজে লাগবে!
লেবু-টোম্যাটোর ফেসপ্যাক
একটা পাকা টোম্যাটো নিয়ে তার পিউরি বানিয়ে নিন। এবারে তাতে দুই টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে মুখে, গলায় এবং ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। মিনিটকুড়ি বাদে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে ন্যাচারাল ব্লিচের কাজ করে এই প্যাক। তবে হ্যাঁ, যদি আপনার ত্বকে কোথাও কেটে যায় বা র্যাশ থাকে, সেক্ষেত্রে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন না।
দুধ ও মধুর ফেসপ্যাক
১/২ কাপ বিশুদ্ধ দুধ ও ৩-৪ চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর হাতে অল্প গোলাপ জল নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সার্কুলার মোশনে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। পরে ভালো করে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।বাড়িতে ফেসিয়াল করতে ম্যাসাজ করার জন্য এই মিশ্রন অত্যন্ত লাভ জনক।
আরও পড়ুন: Manicure – Pedicure: পার্লারের খরচ বাঁচিয়ে বাড়িতে বসেই করুন ম্যানিকিওর-পেডিকিওর
কলা দই ও আমন্ড ফেসপ্যাক
এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের নমনীয়তা রক্ষা করে ত্বক মসৃন ও স্কিন টোন হালকা করে ত্বকের উজ্জলতা বাড়িয়ে তোলে। একটি বড় পাকা কলা, দই ও ১-২ চামচ আলমন্ড অয়েল একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার ভালো করে মুখে মেখে ২০ মিনিট মত রেখে হাতে অল্প ঠান্ডা দুধ নিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন।
অ্যালোভেরা ও গ্লিসারিনের ফেসপ্যাক
এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিনের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। ২০-২৫ মিনিট পরে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। চটজলদি ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে এটি ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
শশা ও লেবুর রসের ফেসপ্যাক
এক টেবিল চামচ শশার রসের সঙ্গে এক চা চামচ করে পাতিলেবুর রস ও হলুদ ভাল করে মিশিয়ে নিন। আপনার যদি শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থাকে তা হলে এর সঙ্গে এক চা চামচ গ্লিসারিনও মেশাতে পারেন। এবারে ওই প্যাক মিনিট ১৫ মেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ট্যান, সূর্যের ক্ষতিকর ইউ ভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এই ফেসপ্যাকটি খুব ভাল।
আরও পড়ুন: Urine Colour: লিপস্টিকের অত্যধিক ব্যবহারে বদলে গেল প্রস্রাবের রং! অবাক চিকিৎসকরা