বাঙালি আর মিষ্টি যেন সমার্থক আর সেই মিষ্টিপ্রেমী বাঙালির জন্য মনখারাপের খবর। ৪৬/৪ মহাত্মা গান্ধী রোডে অবস্থিত অর্ধশতাব্দীরও বেশি পুরনো মিষ্টির দোকান পুঁটিরাম বন্ধ রয়েছে দিন তিনেক। এই দোকান এতদিন বন্ধ থাকতে দেখেনি কেউই। তবে এবার শোনা যাচ্ছে পাকাপাকিভাবেই নাকি বন্ধ হচ্ছে সেই দোকান। হারিয়ে যাওয়ার পথে বাঙালির প্রিয় পুঁটিরামের প্রাণহরা, সরভাজা, সরপুরিয়ার মত অনবদ্য স্বাদের সব মিষ্টি।
সূত্রের খবর, শারীরিক ভাবে অসুস্থ আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার পুঁটিরামের মালিক পরেশ মোদক। তাঁর একমাত্র পুত্র মুম্বাই নিবাসী। দোকান চালাবে কে? পাকাপাকি ভাবে তাই পুঁটিরাম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিক পরেশ মোদক। আর্মহাস্ট স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দাদের মন খারাপ।
তবে, হ্যাঁ আমহার্স্ট স্ট্রিটের পুঁটিরামের স্বাদ না পেলেও, আমরা কিন্তু মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে হেঁটে যেতে পারি সোজা কলেজ স্ট্রিটের দিকে। সে চত্বরেই যে রয়েছে আরও এক পুঁটিরাম। সূর্য সেন স্ট্রিটের এই পুঁটিরাম আবার আমহার্স্ট স্ট্রিটের পুঁটিরামের থেকে পুরো ২০ বছরের বড়। ১০০ বছরের পুরনো পুঁটিরাম বন্ধের কোনও পরিকল্পনা তাই একেবারেই নেই। কারণ দুই দোকানের মালিক আলাদা।
সূর্য সেন স্ট্রিটের পুঁটিরামের মালিক জীতেন্দ্রনাথ মোদক আমহার্স্ট স্ট্রিটের দোকান যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলেন মেয়ে-জামাইয়ের বিয়েতে। আমহার্স্ট স্ট্রিটের দোকানটা তো মেয়ে জামাইয়ের। তাই দুই দোকানের ব্যবসাও চলে আলাদা আলাদা। তাঁদের কারখানাটিও একে অপরের মুখ দেখে না। তাহলে, এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি যে এক পুঁটিরাম বন্ধ হলেও, অন্য দোকানটি এখনও একইভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে মিষ্টিপ্রেমী ক্রেতার অপেক্ষা করছে।