রাজ্যের মুকুটে নতুন পালক। এবার জিআই ট্যাগ পেল পশ্চিমবঙ্গের কারিগরদের হাতে তৈরি টাঙ্গাইল, কোরিয়াল আর গরদের শাড়ি। গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী অভিনন্দন জানালেন সেই শিল্পীদের, যাঁদের কুশলী হাতের সৃষ্টি এই সম্মান নিয়ে এল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বিষয়টি ঘোষণা করেন। লেখেন, ‘নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের, কোরিয়াল ও গরদ জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ও রেজিস্টার্ড রয়েছে।’ এই জন্য, সংশ্লিষ্ট বয়নশিল্পীদের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান তিনি। লেখেন, ‘ওঁদের জন্য আমরা গর্বিত। ওঁদের অভিনন্দন।’
Three handloom saree items of West Bengal, namely Tangail of Nadia and Purba Bardhaman, and Korial & Garad of Murshidabad and Birbhum, have been registered and recognized as GI products.
I congratulate the artisans for their skills and achievements. We are proud of them. Our…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 4, 2024
এছাড়া তালিকায় রয়েছে সুন্দরবনের মধু এবং উত্তরবঙ্গের সুগন্ধি কালোনুনিয়া চালও। একসঙ্গে পাঁচ পাঁচটি জিআই ট্যাগের স্বীকৃতি পেল বাংলা। আর রাজ্যের এই তিন শাড়ির বিশেষ তকমায় খুশি মুখ্যমন্ত্রীও। বাংলার বালুচরি, স্বর্ণচুরি, মুর্শিদাবাদি সিল্ক, তসর প্রতিটি শাড়িরই আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। কী ভাবে চিনবেন এই তিন শাড়ি?
- টাঙ্গাইল শাড়ি প্রথম বোনা শুরু হয় বাংলাদেশে। সেখান থেকে উনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। অফ হোয়াইট, হালকা রঙের উপর বোনা হয় এই টাঙ্গাইল শাড়ি। এই শাড়ি ভীষণ নরম হয়। টাঙ্গাইল শাড়ির পাড়ও খুব আকর্ষণীয় হয়।
- গরদ শাড়ি সাধারণ ভাবে লাল পাড় সাদা শাড়ি বলে পরিচিত। আর এই শাড়ি হল বাঙালিদের ঐতিহ্য। পুজো-পার্বণ এবং বিশেষ যে কোনও অনুষ্ঠানে বাঙালিরা এই লাল-সাদা শাড়ি পরেন। বর্তমানে এই লাল পাড় সাদা শাড়িতেও এসেছে অনেক বৈচিত্র্য। বীরভূমেই বোনা হয় এই গরদ শাড়ি।
- আজকাল বাজারে খুবই চলছে কড়িয়াল বেনারসি। আর এই কড়িয়াল হল মুর্শিদাবাদ সিল্ক। এই শাড়ির স্টাইল হল পাটলি পল্লু। অর্থাৎ কুঁচি আর বডির নকশা আলাদা। সিল্কের কোয়ালিটি একটু মোটা হলেও এই কড়িয়াল বেনারসি দেখতে খারাপ হয় না। তবে বেনারসির সঙ্গে কড়িয়ালের অনেকটাই তফাৎ রয়েছে।