বৃষ্টি পড়লেও গরমের খামতি নেই। এর মধ্যেই আবহাওয়াটা ভ্যাপসা হয়ে রয়েছে। আর সেই কারণেই এসি ছাড়া ঘুমে আসে না অনেকেরই। দিনের অন্য সময়টাও কাটাতে হয় এসি-র মধ্যে। কিন্তু এই অভ্যাসই ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। তেমনই বলছেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি HT Lifesyle-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক সুধা দেসাই জানিয়েছেন, এসির মধ্যে থাকার অভ্যাস অনেকের ক্ষেত্রেই মারাত্মক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গরম যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে এসির মধ্যে সময় কাটানোর প্রবণতা। আর এটিই সমস্যার কারণ হিসাবে দেখা দিচ্ছে। এমনই জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকের কথায়, দুপুর বা বিকেলের দিকে বাইরের তাপমাত্রা মারাত্মক আকার নেয়। আর সেই সময়ে যাঁরা কিছুটা সময় এসির মধ্যে কাটান, তাঁদের ক্ষেত্রে বিপদ সবচেয়ে বেশি। সেই সময়ে এসির মধ্যে যে তাপমাত্রা থাকে, তার সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় ১৫ ডিগ্রির মতো হয়ে যেতে পারে। যাঁরা এসি আরও কম তাপমাত্রায় রাখেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য ২০ ডিগ্রিতেও পৌঁছে যেতে পারে। আর এটিই বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আরও পড়ুন: ORS Fact Check: ওআরএস-এ থাকে চিনি, ডায়াবেটিকরা কি তবে গরমে এই পানীয় খাবেন না?
চিকিৎসকের কথায়, এই সময়ে এসি থেকে গরমে বাইরে বেরোলে, দুই অংশের তাপমাত্রার বিপুল পার্থক্য শরীর সহ্য করতে পারে না। তার ফলেই হিটস্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সেই কারণে এসি থেকে হঠাৎ করে খোলা জায়গায় গরমের মধ্যে বেরোতে বারণ করছেন তাঁরা। বরং মাঝে কিছুটা সময় এমন ঘরে কাটান, যেখানে এসি চলছে না।
এছাড়া এই সময়ে বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, এসির মধ্যে থাকলে তেষ্টা কম পায়। কিন্তু তার পরেও জল খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। নাহলে শরীর শুকিয়ে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা দেখা গিতে পারে।
আরও পড়ুন: Loneliness: একাকীত্ব হতে পারে অকালমৃত্যুর কারণ না হয়, বলছে নতুন গবেষণা